বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৫ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৭ পিএম
তিন দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কুবি শিক্ষক সমিতির নেতারা। প্রবা ফটো
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য দপ্তরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান দাবিগুলো উপস্থাপন করেন।
তিনটি দাবি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলায় জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও অছাত্র, বহিরাগত, সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং প্রক্টরের অপসারণ।
কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি নিষ্ক্রিয় ছিল। প্রক্টরিয়াল বডি অছাত্র, সন্ত্রাসীদের উপাচার্য দপ্তর থেকে বের করেনি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়নি। আমরা মনে করি, প্রক্টরিয়াল বডি সচেতনভাবে এ হামলার সঙ্গে জড়িত। আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে না নিলে মনে করব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ আছে। গতকালকের ঘটনায় আমি উল্টো অনিরাপদ আছি বলে মনে করি। এ ছাড়া তাদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’
এর আগে সোমবার বিকাল ৪টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতারা। সেখানে উপাচার্য দপ্তরে বাগ্বিতণ্ডার আওয়াজ শুনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও কর্মকর্তারা উপাচার্য দপ্তরে গেলে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২ ঘণ্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। শিক্ষকরা রাত ১০টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে পরে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।