বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৭ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা ও হুমকি-ধমকির অভিযোগে নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর দক্ষিণ থানায় জিডি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
জিডিতে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও সাবেক শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ নেতা) ইমরান হোসাইনের নির্দেশে জোর করে উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশ করে। এরপর তারা মারমুখী আচরণ করেন। তখন ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন শিক্ষকের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিব।’ তখন শিক্ষকেরা প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্য চান। কিন্তু প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি৷ উল্টো বিবাদীরা সাত-আটবার মারমুখী আচরণ করেন। এতে শিক্ষকেরা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছেন।
জিডিতে নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০/৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নয়জন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাকির হোসেন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. ইমরান হোসাইন, লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অনুপম দাস বাধন, মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান রকি, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমাম হোসাইন মাসুম, বাংলা বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন, রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম।
এই বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমাদের উপর কিছু সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা দ্বারা হামলার চেষ্টা করা হয়। আমরা সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চাই এবং তারা সেটা দিতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করি কিন্তু উপাচার্য আমাদের তার দপ্তরে রেখেই বাসভবনে চলে যান। যার ফলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভরসা হারিয়ে রাত ১ টায় রাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাধারণ ডায়েরি করেছি।
জিডির তথ্য নিশ্চিত করে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার বিকাল ৪টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান নবনির্বাচিত শিক্ষক সমিতির নেতারা। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের বাকবিতন্ডা হয়। সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২ ঘন্টা আলোচনা শেষে বেরিয়ে যান। পরে শিক্ষকরা রাত ১০টা পর্যন্ত উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করে সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান।