বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪৫ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১২ পিএম
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন কথা বলেন শিক্ষক নেতারা। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির নামে মিথ্যাচার করার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির নেতারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে অভিযোগ করেন উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য দাবি করেছেন আমাদের ২৬ দফা দাবির অধিকাংশ পূরণ হয়েছে। এটা চরম মিথ্যাচার। তিনি মাত্র দুটি দাবি পূরণ করেছেন। তিনি সেদিন শিক্ষক সমিতির নামে যেসব অভিযোগ তুলেছেন তা বিভ্রান্তিকর, হঠকারী এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা।’
এই সময় সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সমিতির ২৬ দফা দাবি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে কোন কোন দাবি এখনও পূরণ হয়নি সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা বলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির কোটি কোটি টাকা চবির তহবিলে জমা না দিয়ে উপাচার্যসহ শিক্ষক ও একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে ভাগাভাগি করে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়টি আইনের চরম লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভাগ বাটোয়ারার এই অভিযোগ কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষকরা নেবে না। ভর্তি পরীক্ষায় খরচ অর্থের বাইরে যে অর্থটুকু থাকে তা কীভাবে কোন খাতে ব্যয় হয় তা প্রশ্ন ওঠোর আগেই প্রকাশ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব।
এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি ঠিক করতে ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অডিটোরিয়ামে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা সত্যটা তুলে ধরেন। কোনো বিষয়ে যদি অভিযোগ বা বিভ্রান্তি থাকে আপনারা আমাদের প্রশ্ন করুন। আমাদের কোন দাবিটা অযৌক্তিক। সেসব দাবি পূরণ না করে উপাচার্য শিক্ষক সমিতির নামে মিথ্যাচার করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমরা দ্রুত উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, সদস্য অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।