প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:১১ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৫১ পিএম
প্রবা ফটো
ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব ১৪৩০ বঙ্গাব্দ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর তাদের প্রিয় প্রাঙ্গণকে প্রকৃতির রঙে সাজিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেন। বাঙালির উৎসব মানেই মিষ্টান্ন ভোজ অপরিহার্য। তাই এই উৎসবের মূল আকর্ষণ হিসেবে পিঠা উৎসব আয়োজন করেছিল। বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষকরা এই পিঠা উৎসবে যোগ দেন। উৎসবটি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম।
তারা আরও জানান, বাঙালির পিঠাপুলি তৈরি করার ঐতিহ্য বহু বছরের পুরোনো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নিজের হাতে তৈরি পিঠার প্রদর্শন করে উৎসবের আমেজে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন। গুড়, নারকেলের ভাপা পিঠার মিষ্টি স্বাদ কিংবা হরেক রকমের ভর্তার সঙ্গে চিতই পিঠার পরিবেশন। দক্ষ হাতের নকশি পিঠা আর রসে ডোবানো পুলি পিঠা, ভিন্ন স্বাদের ডিম পিঠা, নারকেলের ভাজা পুলি পিঠা। এ ছাড়াও আরও নানান স্বাদের ও রঙের পিঠার সমাহার দেখা যায় পিঠার দোকানগুলোতে। রঙিন কাগজ, রঙতুলিতে বাংলার গ্রাম্য সংস্কৃতির অঙ্কন, নকশা করা ঘুড়ি, কুলা, হাতপাখা ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী সবকিছুর সমাহার পিঠা উৎসবকে করে তুলেছিল আরও আকর্ষণীয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর মেসবাহ উল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালির সংস্কৃতি প্রতিনিয়ত লালনের মাধ্যমেই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এর গুরুত্বের বার্তা পৌঁছাবে। আর এই বিশেষ উৎসবটি বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় যে সম্পর্ক, তা তুলে ধরে এবং ঐতিহ্যবাহী পিঠা পার্বণ বাঙালির রুচি ও স্বাদের বাহার সবার কাছে উপস্থাপন করে।’
সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান বলেন, ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল সার্ভিসেস ক্লাব কর্তৃক পিঠা উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেবল বাঙালি সংস্কৃতিই নয়, বরং বাঙালির মধ্যকার যে পারস্পরিক সহমর্মিতাবোধ চিরকাল বিরাজমান, তারও দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরে তৈরি পিঠা বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য, আমাদের শহুরে হৃদয়ে নতুনভাবে ভালো লাগা তৈরি করেছে। রঙিন সাজে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সবার উপস্থিতি, পিঠা উৎসবকে করেছে প্রাণবন্ত করে তুলে।