বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:১৯ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:১১ পিএম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসনের তৎপরতায় দুই দিনের মধ্যেই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে পুনরায় স্ব স্ব পদে কাজ শুরু করেছেন।
গ্রেপ্তার অটোরিকশাচালকের নাম মো. মোশারফ হোসেন। তিনি নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানার নাটেরকোণা গ্রামের বাসিন্দা।
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আমাদের সব বিভাগকে অবহিত করি। সবার সহযোগিতায় আমরা দ্রুতসময়ে ময়মনসিংহের পাটগুদাম এলাকা থেকে অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে গতকাল থেকেই কাজ করছি। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি কাজ করছি এবং করব। একটি ইস্যু তৈরি হয়েছিল। সেটা সমাধান হয়ে গেছে। তবে যেকোনো বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বিনয়ী ও ধৈর্যশীল হবে, এমনটা আশা রাখি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী জানান, দ্রুতই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানিকারী অটোরিকশাচালককে আটক করা হয়েছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় পুলিশ সঠিক বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশের সহায়তায় এসব কাজ করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির একটি সমস্যা হয়েছিল। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগারসংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সিএনজিচালক পেছন থেকে এসে আশালীনভাবে তার গায়ে হাত দেন। পরদিন শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তালা দিলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।