জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে ফের নির্দেশ ইউজিসির

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কমিশনের ২৫ জানুয়ারি চিঠির ওপর আচার্য তথা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে কয়েক দফা চিঠি দেয় ইউজিসি।

গত ২৫ জানুয়ারি চিঠিতে বলা হয়, কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে এরই মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী ভর্তির পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সংবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা আইনি জটিলতার শিকার হবেন। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্টের কারণসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনগত উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আচার্য তথা রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা কামনা করে কমিশন।

ইউজিসির দেওয়া সব শেষ চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আচার্য তথা রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মূল ক্যাম্পাসে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যা কমিশন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। কাজেই এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার আগ পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।