বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২১ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৮ পিএম
রবিবার সকালে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘আমার বোন লাঞ্ছিত কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বোবা প্রশাসনের টনক নড়বে কবে’, ‘সিসিটিভি আছে ফুটেজ নাই , নিরাপত্তা কোথায়’, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগত কেন?’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশুপালন অনুষদীয় গেট থেকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন তালা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পরে দুপুর ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যতীত সিএনজি, অটো চলাচল নিষিদ্ধ করা; রিকশাগুলোর নির্ধারিত কোড ও রিকশাচালকদের পোশাকের ব্যবস্থা করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং অবিলম্বে শ্লীলতাহানির ঘটনার বিচার করা।
অন্যদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই, সেখানে আমাদের কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করে গালিগালাজ করেছে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডির (প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা) সদস্যরা সই করে একযোগে পদত্যাগপত্র প্রক্টরিয়াল অফিসে জমা দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মের রাস্তাগুলোর কাল থেকেই নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। শ্লীলতাহানির এ ঘটনার উপযুক্ত বিচারের জন্য পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অপরাধীকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।’
প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘প্রক্টর ও ছাত্রদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। এটি সাময়িক বিষয়। বিষয়টির সমাধান করা হচ্ছে। দুয়েক দিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। প্রক্টররা আবার তাদের কর্মস্থলে যোগদান করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগারসংলগ্ন রাস্তায় শ্লীলতাহানির শিকার হন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সিএনজিচালক পেছন থেকে এসে অশালীনভাবে ওই নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেন। সেই সময় তার সিএনজিতে কোনো যাত্রী ছিল না। পরবর্তীতে সেই সিএনজিচালককে ধরতে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।