জাবিতে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১২ পিএম
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৪ পিএম
বেলা ১২টায় জাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার গ্র্যাজুয়েট সিনেট সদস্যরা। প্রবা ফটো
ক্যাম্পাসের ভেতর স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করায় দাবি তুলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট সদস্যরা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তারা এই দাবি জানান।
সিনেট সদস্য মেহেদী জামিল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ধর্ষণের মতো ঘটনা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে। এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না। যারা হল প্রভোস্টের দায়িত্বে আছেন, তারা হলে থাকেন না। প্রভোস্ট শুধু চেয়ার নিয়ে বসে থাকেন। আমাদের দাবি, যে সকল অছাত্ররা সিট দখল করে আছে, তাদের দ্রুত হল থেকে বের করতে হবে। একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
জাবির সাবেক উপাচার্য ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ফাঁসির দাবি জানাই। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে অছাত্র চাঁদাবাজদের বের করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণরুমের বিলুপ্তি করা হোক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় গণরুম মুক্ত হোক।’
আরও বক্তব্য দেন- সিনেট সদস্য আশীষ কুমার মজুমদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাসুল আলম সেলিম, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর কবির, সিনেট সদস্য সাবিনা ইয়াসমি প্রমুখ।
গত শনিবার রাতে জাবির আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্তদের ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালাতে সহায়তা করে বলেও অভিযোগ আছে। গত রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হওয়া মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও পলাতক রয়েছে দুই আসামি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত করেছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের কমিটি। গত সোমবার ধর্ষণে অভিযুক্ত ও তাদের পালাতে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান।
মামলার তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) আবদুল্লাহিল কাফী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, রিমান্ডে ধর্ষণের ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল সেই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন আসামিরা। পলাতকদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তকেসহ অন্য আসামিকে ধরতে আমরা চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে একাধিক জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।