বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫২ পিএম
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২২ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে সংবাদ প্রদর্শনীতে শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগ দাবিতে এবার চট্টগ্রাম শহরে কর্মসূচি করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ‘শিডিউল’ পাওয়া সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহের সোম অথবা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনের আগের দিন প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে চবি শিক্ষক সমিতি।’’
বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের ধারাবাহিকতায় ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কি এভাবেই চলবে?’ শিরোনামে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে সংবাদ প্রদর্শনী চলমান ছিল। আগামী সপ্তাহে শহরের কর্মসূচির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ প্রদর্শনীর পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘সংবাদ প্রদর্শনী মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের মানুষ প্রশাসনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত হয়েছে। পত্রপত্রিকার নিউজের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মানুষ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছে। আমরা চাই এটি জাতীয়ভাবে আলোচনায় আসুক। একটা বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে পারে না। আমরা সরকারের নেতৃস্থানীয় মাননীয় মন্ত্রীবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শহরে এই কর্মসূচি পালন করব। এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উপাচার্যের বিরুদ্ধে অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করে বাংলা ও আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল শিক্ষক সমিতি। সমিতির এ অবস্থানের মধ্যেই আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। এর প্রতিবাদে উপাচার্য ও সহউপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগের এক দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষক সমিতি। যদিও উপাচার্য শিরীণ আখতার ২১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। আইন মেনেই তিনি নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে জানিয়ে বাংলা ও আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত করার অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
শীতকালীন বন্ধ ও নির্বাচনের কারণে ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ছিল। সর্বশেষ ১৪ জানুয়ারি থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক সমিতি।