বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৪ পিএম
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:০৮ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) খাবার হোটেলগুলোতে খাবারের মূল্য ও মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন। এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দুই দিনের মাথায় খাবারের মান ও পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারণ করা খাবারের মূল্য প্রকাশের পর থেকেই দোকানে খাবারের মান কমে এসেছে। এমনকি পূর্বের তুলনায় পরিমাণও কমিয়েছে মালিকরা। নতুন মূল্যতালিকা অমান্য করে কয়েকটি হোটেলে আগের মূল্যেই খাবার বিক্রি হচ্ছে। এতে হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে মালিকরা বলছেন, নির্ধারিত মূল্যে তারা সন্তুষ্ট নন। বাধ্য হয়েই খাবারের পরিমাণ কমিয়েছেন। বাজারে বাড়তি দামে ক্রয় করে প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া দামে খাবার বিক্রি করলে ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানান তারা।
খাবারের মান বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, ‘খাবারের দাম কমেছে, পরিমাণও কমেছে। চপে ডিমের পরিমাণ কমে গেছে। আগে একটা ডিমে চারটা চপ বানাতেন, সেখানে এখন একটা ডিমের ছয় থেকে আটটা চপ বানাচ্ছেন হোটেলমালিকরা। পেঁয়াজু, শিঙাড়া আগের থেকে ছোট হয়ে গেছে। চায়ে চিনির পরিমাণ কমে গেছে। ভাতের মান ও পরিমাণ কমে গেছে।’
একই কথা বলেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগ এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টুকিটাকি চত্বরের সুরুজ হোটেলের হাসমত আলী বলেন, 'প্রশাসনের টাঙিয়ে দেওয়া মূল্যতালিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নই। ক্ষতির আশঙ্কা করে এবং উপায় না পেয়েই খাবারের পরিমাণ কমানো হয়েছে।'
বিভিন্ন পণ্যের ক্রয়মূল্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'বাজারে তেল ১৭০ টাকা কেজি, ময়দা ৪৫ টাকা কেজি। নির্ধারিত দামে কী করে বেচব? কেরোসিন ১২০ টাকা লিটার, চাল ৬৫-৭০ টাকা। ১০ টাকা প্লেট ভাত কীভাবে বিক্রি করব?'
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘দোকানদার ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একসঙ্গে বসেই নতুন মূল্যতালিকা তৈর করা হয়েছে। এখন যদি দোকানিরা মানতে রাজি না হয়, তাহলে তো হবে না। বিষয়টি এস্টেট দপ্তরকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ নিয়মিত তদারকি হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি।