বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৭ পিএম
ছুটি হওয়ার আগেই নিজেরা ছুটি নিয়ে নেন, আবার নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়েও যেন হতে চায় না। রাজধানীর শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবাসিক হলগুলোর ডাইনিংয়ের নিয়মিত চিত্র এটি। যেকোনো সরকারি ছুটি উপলক্ষ করে তার আগে-পরে মিলিয়ে লম্বা সময় বন্ধ থাকে হলের ডাইনিংগুলো। এবার শীতের ছুটি নিয়েও চলছে একই কাণ্ড। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজারো শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙে না। ফলে চড়া দামে বাইরের দোকানের খাবার খেয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় হলে থাকা এসব শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সপ্তাহের শীতকালীন ছুটি শেষ হয়েছে গত ৩০ ডিসেম্বর। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন উপলক্ষে পুরোদমে ক্লাস-পরীক্ষা না হলেও ছুটির ঘোষণা ছিল না। ফলে আবাসিক হলেই ছিলেন বহু শিক্ষার্থী। তবে ছুটি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের বেশি অতিবাহিত হলেও চালু হয়নি আবাসিক হলগুলোর ডাইনিং। তবে কিছু হলের ক্যান্টিন চালু হলেও ছেলেদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ক্যান্টিন কারণে বন্ধ রয়েছে। এ হলের ডাইনিংয়ে বিজয় দিবসের বিশেষ খাবার প্রস্তুতির পর থেকেই বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় কিছু হলের ক্যান্টিন খুললেও অতিরিক্ত চাপ থাকায় খাবার নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
সরজমিনে দেখা যায়, ছেলেদের ৪টি হল এবং মেয়েদের ৩টির হলের সব ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার আগেই বিনা নোটিশে বন্ধ করে দেওয়া হয় নজরুল হলের ডাইনিং। ঈদ, পূজা প্রতিটি ছুটি শুরু হওয়ার আগেই হুট করে বন্ধ করে দেওয়া হয় ডাইনিং। অন্যদিকে ছুটি শেষ হওয়ার পরও সঠিক সময়ে খোলে না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপই নেয়নি।
বন্ধের কারণ জানতে চাইলে একেক হলের প্রভোস্ট একেক কারণ দেখান। লুৎফর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনিসুর রহমান বলেন, ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ টোকেন নেওয়ার মতো শিক্ষার্থী না থাকায় ডাইনিং বন্ধ ছিল। শনিবার থেকে খুলবে।’ শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, ‘মেয়েরা এখনও আসেনি। আমি কথা বলতেছি।’ শেখ সায়েরা খাতুন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রায় খবর নিয়ে দেখেছি শিক্ষার্থীরা ডাইনিং-ক্যান্টিনে খায় না। কেউ কেউ টাকা দিতে সমস্যা করে। তারা অধিকাংশই রুমে রান্না করে।’ সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক এবং নজরুল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শনিবার সব হলের ডাইনিং খোলার ব্যবস্থা করব।’