রিয়া মোদক, হাবিপ্রবি
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৩৬ পিএম
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৪৪ পিএম
মাসুদ রানা। প্রবা ফটো
বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া– তরুণদের অন্য এক স্বপ্ন। মাসুদ রানার কাছে সেই স্বপ্ন একে একে দুবার ধরা দিয়েছে। ৪১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার ও ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন তিনি। তবে কোথায় যোগদান করবেন– দ্বিধা কাটছে না রানার।
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইরিগেশন অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন মাসুদ রানা। স্নাতকোত্তরের শেষ দিক থেকে তার বিসিএস প্রস্তুতি শুরু।
মাসুদ রানা বলেন, মাস্টার্স শেষ হওয়ার আগে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে যোগদান করি। এটাই আমার প্রথম চাকরি। অফিসে বই নিয়ে যেতাম। সময় পেলে পড়তাম। এরপর জনতা ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করি। ব্যাংকে চাকরির পাশাপাশি পড়ার সময় বের করা খুব কঠিন।
তিনি আরও বলেন, বিসিএস ও ধৈর্য একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ধরন আলাদা। তাই সবাইকে ভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হয়। বিসিএসকে একমাত্র লক্ষ্য বানানো যাবে না। সব পেশাই সম্মানের। বিসিএসও চাকরির জন্য একটি পরীক্ষা মাত্র। প্রস্তুতি এমন হতে হবে যে, বিসিএসের জন্য নেব, কিন্তু এই প্রস্তুতি যে শুধু বিসিএসের জন্য কাজে লাগাব তা না। যেকোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রেই সেটা কাজে লাগাব। বিসিএসের প্রস্তুতিটা যেকোনো চাকরির জন্য মূলধন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
বিসিএসে দুই ক্যাডারে সুপারিশ, সিদ্ধান্ত কী– মাসুদ রানা বলেন, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেখানেই যোগদান করি যতটা সম্ভব স্বচ্ছতার সঙ্গে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করব।