বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৪ পিএম
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৬ পিএম
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই শিক্ষার্থী তৈরি করেছে রোবট তবব (জি)। প্রবা ফটো
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থী তৈরি করেছে রোবট তবব (জি)। রোবটির বিশেষত্ব হলো, এটি সম্পূর্ণ কণ্ঠস্বর নিয়ন্ত্রিত, পাশাপাশি বয়স্ক মানুষদের সঙ্গ দেওয়ার পাশাপাশি বাচ্চাদের শিক্ষা দান ও ধর্মীয় শিক্ষায় ব্যবহার করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চিরঞ্জিত বিশ্বাস রহিত এবং সামিয়া ইন্তেসার রোবটটি তৈরি করেছেন।
একই ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. শামীম আহ্সানের তত্ত্বাবধানে গবেষণা প্রজেক্ট হিসেবে প্রায় সত্তর হাজার টাকা ব্যয়ে রোবট তবব (জি) তৈরি করেন তারা।
উদ্ভাবকরা জানান, সেন্টার প্রসেসর হিসেবে জেটসন ন্যানো ব্যবহার করেছেন। মূলত তাদের প্রজেক্টটি ছিলো বয়স্ক ব্যক্তিদের নিঃসঙ্গতার সঙ্গি হতে পারবে এমন একটি রোবট তৈরি করা। রোবটটি মানুষের কণ্ঠ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ব্যবহারকারীর কথা শুনতে এবং উত্তর করতে পারে। এছাড়া মানুষের নির্দেশনা অনুযায়ী চলাচল, কথা বলা, গান শুনা, যে কোন বিখ্যাত ব্যাক্তি সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারে। এছাড়াও এটি বাচ্চাদের শিক্ষা দানের সহায়ক এবং ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ব্যবহার করা যাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী একে আপডেট করা যাবে।
গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. শামীম আহ্সান বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে সবদিক বিবেচনায় রোবট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোবট নিয়ে কাজ করাও ব্যয়বহুল যা অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টসাধ্য। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি অল্প খরচে ভালো একটা প্রজেক্ট তৈরি করতে। রোবটটি যেমন বয়স্কদের নিঃসঙ্গতা কাটাতে ব্যবহার করা যাবে তেমন বাচ্চাদের শিক্ষায়ও ব্যবহার করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা সুযোগ পেলে অনেক ভালো কিছু করার সমার্থ্য রাখে কিন্তু অর্থনৈতিক সমস্যায় তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আরো সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এসব সেক্টর এগিয়ে যাবে।’
উদ্ভাবক সামিয়া ইন্তেসার বলেন, ‘শামীম স্যারের নির্দেশনায় দীর্ঘ নয় মাসের পরিশ্রমের ফসল এই রোবট। রোবট নিয়ে কাজ করা সবসময় আনন্দের এবং কৌতুলউদ্দীপক। আশাকরি, আগামীতে আরও ভালো কিছু করতে পারবো।’