বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৩ পিএম
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন-২০২৩। ইতোমধ্যেই আওয়ামীপন্থি প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের দায়িত্বশীল শিক্ষকদের বিভক্ত হয়ে চূড়ান্ত হয়েছে প্রার্থী তালিকা। দুই প্যানেলের সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে চূড়ান্ত প্রার্থীরা নেমেছেন প্রচারণায়।
ইবি সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির ১৫টি পদের বিপরীতে এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না বিএনপিপন্থি মতাদর্শের শিক্ষকরা। আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়েই লড়ছেন নির্বাচনে। কিছুদিন আগে আওয়ামীপন্থি শাপলা ফোরাম এক হয়ে প্যানেল দিলেও নির্বাচনে পদ দখলের অভিলাষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন তারা। গত মঙ্গলবার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে আওয়ামীপন্থিদের দুটি, জামায়াতপন্থিদের একটি পূর্ণ প্যানেল এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ১৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪৬ জন।
শাপলা ফোরাম দাবি করা পক্ষের সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাকে শাপলা ফোরাম থেকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সবাই আমাদের প্যানেলকেই ভোট দেবেন। আমিও চেষ্টা করেছিলাম একসঙ্গে একটি প্যানেল দেওয়ার।’
আওয়ামীপন্থি প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠনের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত হওয়া শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে কতিপয় সদস্যের সরাসরি ভোট অংশগ্রহণ না করে পেছন থেকে দলকে ব্যবহারের অভিলাষ থেকেই আমার মনে হয়। শাপলা ফোরাম শিক্ষক সমিতিতে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল করতে ব্যর্থ হয়েছে। যাদের কারণে এই বিভক্তি আর এর পেছনের ব্যক্তিদের অচিরেই আপনারা শিক্ষক সমিতির ভোট প্রার্থনায় লক্ষ করতে পারবেন।’
শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘আমি মনে করি এখনও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারব। এখনও ঐকের জন্য সকল পথ উন্মুক্ত রয়েছে।’
নির্বাচন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। তিনটি প্যানেল এবং একজন স্বতন্ত্র আসলে বিষয়টা এমন না, ইচ্ছে করলে সকল শিক্ষকই ভোটে দাঁড়াইতে পারতেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো পরিচয় আমাদের বিবেচ্য বিষয় না।’