প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৭ পিএম
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০২ পিএম
ভাসানটেক সরকারি কলেজে স্বাধীনতা মিলনায়তনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিফলন ঘটবে নতুন কারিকুলামে এমন মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) এবং বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন শিক্ষা ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন যেটা হবে কালোত্তীর্ণ। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন ছিল অসাম্প্রদায়িক। তিনি চেয়েছিলেন আমাদের দেশে এমন শিক্ষিত নাগরিক তৈরি হউক; যারা বিশ্বজুড়ে কাজে আসবে। বঙ্গবন্ধু দেশে আসার পর শিক্ষা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭৫ এর পর যদি সেই ধারা অব্যাহত থাকত তাহলে আমরা আজ প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকতাম না।’
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজে স্বাধীনতা মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও ভবিষ্যতের শিক্ষা : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ছাড়া রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আমাদের সমস্যাগুলো আমাদেরই শনাক্ত করতে হবে এবং তার সমাধানও আমাদের করতে হবে। স্বপ্রণোদিত হয়ে শিক্ষাগ্রহণ করবে এমন প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। এ দায়িত্ব আমাদের শিক্ষকদের।’
সেমিনারে সভাপতি ছিলেন ভাসানটেক সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হান্নান মিঞা।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রকে গড়ে তোলার মূল দায়িত্ব আমাদের শিক্ষা ক্যাডারদের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার অবদান থাকবে সবচেয়ে বেশি। শিক্ষিত সমাজই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। পঁচাত্তরে জাতির পিতার মৃত্যু হলেও তার স্বপ্নের মৃত্যু হয়নি।’
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সমীরণ সরকার।
তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলার। সোনার বাংলার জন্য প্রয়োজন সোনার মানুষ। আর সোনার মানুষ তৈরি করতে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার। যার মধ্যে ছিল গণমুখী শিক্ষা, সর্বজনীন শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা। তিনি চেয়েছিলেন এই শিক্ষাগ্রহণের মধ্য দিয়ে মানুষ হয়ে উঠবে স্বনির্ভর ও আত্মপ্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধুর এই যুগপোযুগী আধুনিক শিক্ষাই মূলত ‘ভবিষ্যতের শিক্ষা’।
এই প্রবন্ধে ড. সমীরণ সরকার আরও আলোচনা করেছেন কেমন হতে পারে ২০৫০ সালের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যতের শিক্ষাধারা কেমন হবে, সেই শিক্ষাধারায় শিক্ষকদের করণীয় কী হবে সেসব নিয়েও বিশদ আলোচনা করেন তিনি। তার আলোচনা শেষে সেমিনারে অংশ নেওয়া শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা প্রবন্ধ এবং শিক্ষার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সেমিনারে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) নিয়েও আলোচনা উঠে আসে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক পাইক মো. নুরুল ইসলাম, সবুজবাগ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীম আরা বেগম, দুয়ারীপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, ঢাকা উদ্যান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমেজ উদ্দিন, ভাসানটেক সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন, মাউশি আঞ্চলিক কার্যালয় ঢাকার উপপরিচালক কাজী নূরে আলম সিদ্দীকী প্রমুখ।
হাজারিবাগের শহীদ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে তার প্রতিনিধি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাসানটেক সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদা ইসলাম।