বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ। প্রবা ফটো
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে গণযোগাযোগ বা যোগাযোগ সাক্ষরতা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে উন্মুক্ত আবেদন জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব আইডিতে তিনি এই আবেদন জানিয়ে পোস্ট করেন।
রাবি অধ্যাপক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশে বহু বছর আগে থেকে মানবীয় যোগাযোগ, গণযোগাযোগ, গণমাধ্যম সাক্ষরতা পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। ১৯৬২ সালের আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পঠন-পাঠন শুরু হয়। এরপর বিষয়টি সম্প্রসারিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবগুলোতেই যোগাযোগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা কিংবা অন্যকোনো নামে অধ্যয়ন অনুশীলন চলছে। সেই হিসাবে প্রতিবছর দুই হাজারের বেশি গ্রাজুয়েট জ্ঞানের এসব শাখা থেকে বেরিয়ে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিজেদের নিয়োজিত করছেন এবং দৃশ্যমান হচ্ছে দেশ ও বিদেশে তাদের সফলতার বিভিন্ন দিক।’
যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে এই অধ্যাপক আরও লিখেছেন, ‘গণযোগাযোগের বিভিন্ন শাখার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তথ্য ও বার্তা নিয়ে অনুশীলন। আর আজকের সময়ে তথ্যই হলো শক্তি, তথ্যই হলো সম্পদ, তথ্যই হলো জ্ঞান। তথ্যসমৃদ্ধ মানুষ আজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সকল কিছু। যার কাছে তথ্য নেই; সে নিঃস্ব। এজন্য আমরা বলি যে দেশ যত বেশি তথ্যসমৃদ্ধ, সেদেশ তত উন্নত।’
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি মাছের জন্য জল যেমন অপরিহার্য, তেমনি যোগাযোগ মানুষের জন্য অপরিহার্য। যোগাযোগ, গণযোগাযোগ শিক্ষা ছাড়া জন্মের পর শিশু কীভাবে মানুষ হয়ে উঠবে!’
অধ্যাপক আরও উল্লেখ করেছেন, ‘একটা মানুষ তার কথা বলা, বাচনিক অবাচনিক অভিব্যক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের আত্মার সৌন্দর্য ফুটে তুলতে পারে। সবমিলিয়ে যে উপসংহারে আসা যায় তা হলো মানুষকে, নাগরিককে যোগাযোগে দক্ষ করে তুলতে না পারলে পরিবার থেকে রাষ্ট্র সর্বত্র—এই লোকগুলো অশান্তি সৃষ্টি করবে, বিশৃঙ্খলা দৃশ্যের পূনরাবৃত্তি ঘটাবে, হয়ে উঠবে অসহিষ্ণু। আর এজন্যই পাঠ্য বইয়ে জাতীয় শিক্ষা ক্যারিকুলামে যোগাযোগ সাক্ষরতা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’