বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৫২ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:২৪ পিএম
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত এবং মারধরের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজীবন বহিস্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- ফার্মেসি বিভাগ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল আহম্মেদ সাকিব। দুই সেমিস্টার বহিস্কৃত শিক্ষার্থী দুজন হলেন, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সাগর এবং ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু হেনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে শৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ওদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
রেজিস্ট্রার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্তের পর অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। তাই আমরা তাদেরকে সাত কর্মদিবসে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছি। তাদের জবাবের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ বনাম ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের মধ্যে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে ফার্মেসি বিভাগ ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় ১১ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে গিয়ে ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা ও তার সহযোগীরা মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে এফএমবি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত এবং মারধর করার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে সাজ্জাদ ওইদিন রাতে আমরণ অনশনে বসে। পরে প্রক্টোরিয়াল বডি ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্টের আশ্বাসে সাজ্জাদ অনশন ভাঙ্গে।
এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. হাসিবুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। গত মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বুধবার শৃঙ্খলা কমিটির সভা করা হয়। সভায় ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং দুই শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।