রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩১ পিএম
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:২৯ পিএম
বিরল প্রজাতির পালামগাছের ডালপালা কাটার প্রতিবাদে শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেয়াত মামুদ ভবনের কর্মসূচি পালন। প্রবা ফটো
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির গাছের এক দারুণ সংগ্রহশালা। যার মধ্যে আছে বিরল প্রজাতির কিছু গাছও।
কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে ‘পালাম’ নামের একটি বিরল প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে গাছটির সমস্ত ডালপালা কেটে ফেলা হয়। যার প্রতিবাদে গাছের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভিন্নধর্মী কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পালামগাছের সামনে দুটি প্রতিবাদী বোর্ড স্থাপন করেন। একটিতে লেখা- ‘প্রিয় পালাম গাছ, নির্মমভাবে তোমার সমস্ত ডালপালা কাটার হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিও। কথা দিচ্ছি, যারা গাছ কেটেছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করবই।’ অপর বোর্ডে লেখা ছিল- ‘আমি পালামগাছ, আমার সমস্ত ডালপালা নির্মমভাবে কেটে ফেলায় আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি। সংবেদনশীল মানুষ আমার পাশে দাঁড়াও।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন রণনের সভাপতি ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডল, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. নিত্য ঘোষ, শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ, গ্রিন ইকোর সংগঠক নুরুন্নেসা, গ্রিন ভয়েসের বেরোবি শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, বিতর্ক সংগঠন বিআরইউডিএফ-এর সংগঠক প্রিতম দেবনাথ, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্তসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রণন, রিভারাইন পিপল, গ্রিন ইকো, গ্রিন ভয়েস, বিআরইউডিএফ, গুনগুনের সদস্যরা।
প্রতিবাদ সভায় আসাদ মণ্ডল বলেন, বিরল প্রজাতির গাছে বৃক্ষের জাদুঘরে পরিণত হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। পালামগাছের ক্ষতি যারা করেছে তাদের প্রতি নিন্দা জানাই। বেরোবিতে চার শতাধিক প্রজাতির সাঁইত্রিশ হাজার গাছের মধ্যে এই গাছটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বেশ গভীর। প্রতিদিন যখন ক্যাম্পাসে আসি গাছটি বিশেষভাবে চোখে পড়ে। পালামগাছের ক্ষতি যারা করেছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
শিক্ষক ড. নিত্য ঘোষ বলেন, বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধি কালে বৃক্ষরোপণ অতি জরুরি। অপ্রয়োজনে গাছ কাটা অন্যায়। কেবল বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, দেশের কোথাও অপ্রয়োজনে গাছ কাটা উচিত নয়।
অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বিরল প্রজাতির গাছ পালামের যারা ক্ষতি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ জানাব, প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব।