× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে বক্তারা

ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকারকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২১ পিএম

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে দুই দিনের জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে অতিথিরা। প্রবা ফটো

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে দুই দিনের জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে অতিথিরা। প্রবা ফটো

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র মানুষের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৮) জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে সরকারকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। সমবন্টন নিশ্চিত করতে হবে ক্ষতিপুরণ প্রদানের ক্ষেত্রেও।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে দুই দিনের জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। সমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বিশিষ্ট মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ সলিমুল হকের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে সকাল ৯টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। উদ্বোধন শেষে ‘জীবিকা, খাদ্য এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব’, ‘বিশুদ্ধ শক্তি, জল এবং কর্মসংস্থানের অধিকার: জীবাশ্ম জ্বালানী প্রকল্পের সম্প্রসারণের প্রভাব’ এবং ‘বদ্বীপ বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব ও সর্বশেষ জলবায়ু ন্যায্যতায় তরুণদের ভাবনা’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে কম দায়ী যারা, তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। আবার যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ, জলবায়ু অভিযোজনে তারাই সবচেয়ে কম সক্ষমতা সম্পন্ন। এই সংকট মোকাবেলায় জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণে ধনী দেশগুলোকে বাধ্য করতে সম্মিলিত চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, বর্তমানে যে জলবায়ু সংকট তা মানবসৃষ্ট। নানাভাবে আমরা পরিবেশকে নষ্ট করেছি। সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলো বিভিন্ন লাভজনক প্রকল্পের আওতায় এনে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছি। বাড়িয়ে দিচ্ছি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি। এই সমাবেশ থেকে নিজেদের করণীয় খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ি ধনী দেশগুলোকে এই সংকট মোকাবেলায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে বাধ্য করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। 

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফাতিনাজ ফিরোজ, এশিয়ান পিপলস্ মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি)’র সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশীদ, জাপান থেকে আগত প্রতিনিধি মাকিকু আরিমা, নেপালের প্রতিনিধি অর্জুন কারকি, ‘তারা ক্লাইমেট ফাউন্ডেশন’-এর ডেপুটি রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কাইনান হাউটন, ইউএনডিপি’র সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, সিইআর প্রতিনিধি চৌধুরি মোহাম্মদ শাহরিয়ার আহমেদ, আইইইএফএ’র প্রতিনিধি শফিকুল আলম, কোষ্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী, সিপিআরপি’র প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা প্রমূখ।

এপিএমডিডি’র সমন্বয়ক লিডি ন্যাকপিল বলেন, বিজ্ঞানীদের ধারণার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি গতিতে জলবায়ু পরিবর্তন সংঘটিত হচ্ছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রীর মধ্যে রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো, ধনী দেশগুলো ক্রমাগত কার্বন নিঃসরণের ফলে তা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রাল হওয়ার কথা থাকলেও এখনো সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ধারে কাছেও নেই আমরা। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ধনী দেশগুলোকে বাধ্য করতে হবে।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, ভ্রান্ত উন্নয়ন নীতির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গায় চরম অবহেলার সংস্কৃতি তৈরি করছি। এমতাবস্থায় এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী স্বার্থন্বেষী মহলকে একটি বার্তা পৌছে দিতে চাচ্ছি। যা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ক্ষোভ ও দুর্দশার কথা তুলে ধরবে। আসন্ন সংকট মোকাবেলায় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮) উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনের এই আলোচনায় দেশি-বিদেশি ৯ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। আজ বেলা ৩টায় ঘোষণাপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই সমাবেশ শেষ হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা