বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:০৫ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:০৭ পিএম
প্রবা ফটো
দেশের কৃষি ও কৃষকদের এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে নবান্নের সঙ্গে সংযোগ রেখে ১ অগ্রহায়ণ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) পালন করা হয় জাতীয় কৃষি দিবস। বাংলা ১৪১৫ (২০০৮ সাল) সন থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সরকারি-বেসরকারি এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন আয়োজনের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করা হয়।
দুঃখজনত হলেও সত্য, কৃষি বিষয়ক দেশের প্রথম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এখন পর্যন্ত পালিত হয় না দিবসটি। এ বছরও পহেলা অগ্রহায়ণ (১৬ নভেম্বর) ঘিরে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কার্তিকের শেষে নবান্ন উৎসবকে বড় পরিসরে পালন করা হলেও কৃষি দিবস এখনও রয়ে গেছে অনেকের অজানা। দেশে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করলেও বাকৃবিতে কৃষি দিবস পালনে কোনো সংগঠন এগিয়ে আসেনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও দিবসটি পালনে আগ্রহ দেখায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যাবস্থাপনা শাখার উপ-প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক জিয়াউর রহমান বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিম দিবস, দুধ দিবস পালন করা হয়। তবে কৃষি দিবস পালন করা হয় না। ২০১৪ সালের পূর্বে খামার ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে নবান্ন উৎসব পালন করা হতো। তবে এখন আর হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উদ্যেগ নিলেই দিবসটি পালন করা সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কৃষি দিবস পালন করা হয়নি। সরকারি ভাবে নির্দেশনা পেলে আমরা পালন করতে পারি না। তবে কৃষি অনুষদ, ডিন কাউন্সিল দিবসটি পালন করতে পারে। সরকারিভাবে পালন করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজেট দিতে পারে না। কৃষি দিবস পালন করতে হলে প্রস্তুতির প্রয়োজন। আশা করি, আগামীতে দিবসটি পালন করা হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বাকৃবি কৃষিবিদ দিবস পালন করে থাকে। কৃষি দিবস এর আগে পালন করা হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাকে এ বিষয়ে জানানোও হয়নি। আগামী বছর থেকে বাকৃবিতে কৃষি দিবস পালন করা হবে।