× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মুড়ি-মুড়কিতে শহুরে নবান্ন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২১ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় আয়োজনে নবান্ন উৎসব। প্রবা ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় আয়োজনে নবান্ন উৎসব। প্রবা ফটো

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধারণ করে শহুরে পরিবেশে গ্রামীণ ছোঁয়া দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় আয়োজন হয়েছে নবান্ন উৎসব ১৪৩০। উৎসব উপলক্ষে খই, মুড়কি, মোয়া, মুরালি, বাতাসা নিয়ে নবান্নের আমেজ আনার চেষ্টা করেন আয়োজকরা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন হয় এই উৎসবের। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নানা সংগীত, নৃত্য আর আবৃত্তির একের পর এক আয়োজনে উৎসবমুখর হয়ে উঠে চারুকলা প্রাঙ্গণ। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। 

গুণী শিল্পীদের সুরের মূর্ছনায় শুরু হয় ২৫তম নবান্ন উৎসব। দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পীরা একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। সেই সঙ্গে ছিল সংখ্যালঘু জাতিসত্তার পরিবেশনা। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান সুজা এবং সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সভাপতি সংস্কৃতিজন লায়লা হাসান। সঞ্চালনা করেন জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সহসভাপতি সঙ্গীতা ইমাম এবং আফরোজা হাসান শিল্পী।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, এই উৎসবটি যাতে প্রত্যেক জেলায়, উপজেলায় একসঙ্গে আয়োজন হয় সে রকম একটি জাতীয় উৎসবের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যখন এই নবান্নের আয়োজন থাকত বাড়িজুড়ে। সেই দিনগুলো এখন স্বপ্নের মতো লাগে এই ইট-পাথরের শহরে। তারপরও বলব উৎসব নতুন রূপে গ্রাম থেকে শহরে আসছে। গ্রামেও প্রতিটি ঘরে ঘটা করে পিঠা বানানো হয়। তাই নবান্ন উৎসবটি জাতীয় উৎসব হতে পারে। আগামীতে যাতে এটি হয় সে ব্যাপারে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

নবান্ন শস্যভিত্তিক একটি লোক-উৎসব। কৃষিভিত্তিক সভ্যতায় প্রধান শস্য সংগ্রহকে কেন্দ্র করে যেকোনো ঋতুতে এ উৎসব পালিত হয়ে থাকে। অধিক শস্যপ্রাপ্তি, বৃষ্টি, সন্তান ও পশু সম্পদ কামনা এ উৎসব প্রচলনের প্রধান কারণ। বাংলাদেশে নবান্ন উৎসব পালন করত প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়। হেমন্তে আমন ধান কাটার পর অগ্রহায়ণ কিংবা পৌষ মাসে গৃহস্থরা এ উৎসব পালন করতেন। উৎসবের প্রধান অঙ্গ ছিল নতুন চালে পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ করা। পরে দেবতা, অগ্নি, কাক, ব্রাহ্মণ ও আত্মীয়-স্বজনদের নিবেদন করে গৃহকর্তা ও তার পরিবারবর্গ নতুন গুড়সহ নতুন অন্ন গ্রহণ করতেন। এ উপলক্ষে বাড়ির প্রাঙ্গণে আলপনা আঁকা হতো। পিঠা-পায়েসের আদান-প্রদান এবং আত্মীয়-স্বজনের আগমনে পল্লীর প্রতিটি গৃহের পরিবেশ হয়ে উঠত মধুময়। সর্বত্র গুঁড়ি কোটার শব্দ, শাঁখের শব্দ ইত্যাদিতে গ্রামাঞ্চল হয়ে উঠত প্রাণবন্ত। পাড়ায়-পাড়ায়, বাড়িতে-বাড়িতে বসত কীর্তন, পালাগান ও জারিগানের আসর। তরুণরা মুখোশ পরে দলে দল রাতভর বাড়ি বাড়ি ঘুরে নাচগান করত। কৃষকরা নতুন ধান বিক্রি করে নতুন পোশাক-পরিচ্ছদ কিনত। বর্তমানে সেসবের অনেক কিছুই লোপ পেয়েছে। এখন সংক্ষিপ্তভাবে কেউ কেউ এ উৎসব পালন করে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা