প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:১৪ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) কর্মীরা। এতে বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ৩০১ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিভাগের অফিস ও পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগ এই উপপক্ষ তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে জানিয়েছেন বিভাগের সভাপতি আসমা আক্তার।
বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসে বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ২০৪ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা চলাকালে হাসিব ও হাবিব নামে দুই শিক্ষার্থীর নকল ধরেন শিক্ষক আসমা আক্তার। ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম।
পরে তাদের পরীক্ষার খাতা রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হলেও গত এক বছরে তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি। ফলে ওই দুই শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট আসেনি। দীর্ঘ সময় পরও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ছাত্রলীগের কর্মীরা অফিস ও পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভিএক্সের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, একটা ছেলে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার হয়েছিল। তার বিষয়ে দু’মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসার কথা থাকলেও এক বছরেও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাজ হলেও বিভাগ দায় এড়াতে পারে না। তাই তার বন্ধু-বান্ধব বিভাগে তালা লাগিয়েছে।
তৎকালীন পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসেম বলেন, এটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ। আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসে খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন। এখানে আমাদের কোনো কাজ নেই।
বিভাগের সভাপতি আসমা আক্তার বলেন, ‘আমরা তাদের খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি রেজিস্ট্রার অফিসে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে চবির শৃঙ্খলা কমিটি। তবে, তাদের জন্য কোনো সুপারিশ করা যায় কিনা তা বিভাগের একাডেমিক কমিটিতে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা বলেন, গত বছর তাদের নকল ধরা হলেও বিভাগ আমাদের খাতা দিয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। তা ছাড়া, এরইমধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং না হওয়ায় কিছুদিন আগেও আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। মিটিং হলে সেখানে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।