লিডিং ইউনিভার্সিটি
সিলেট অফিস
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪০ পিএম
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৩ ২০:১০ পিএম
সিলেটের বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বহিষ্কৃত দুই শিক্ষককে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সেইসঙ্গে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ভারতীয় নাগরিকসহ দুজনকে ২ মাসের মধ্যে বাদ দিয়ে নতুন করে বোর্ড গঠনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মফিজুল ইসলাম বরাবর এ নির্দেশনা দিয়ে গত রবিবার চিঠি পাঠায় ইউজিসি।
ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা জারিনা হোসেইন ও সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাসের বহিষ্কারাদেশ বাতিল এবং ওই তারিখ থেকে তাদের সব সুযোগ-সুবিধাসহ স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই চিঠিতে ভারতীয় নাগরিক সাদিকা জান্নাত চৌধুরী ও নাবালক সাইদ আজমাইন আবদুল হাইকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে বাদ দিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে জয়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনিরীক্ষিত অর্থবছরের নিরীক্ষার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি উপাচার্য অধ্যাপক কাজী আজিজুল মওলাকে চুক্তি অনুযায়ী বেতন-ভাতাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ অক্টোবর শিক্ষক রাজন দাশ এবং সৈয়দা জারিনাকে বরখাস্ত করা হয়। ওই সময় উপাচার্য যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে ট্রেজারার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাদের বহিষ্কার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনেও নামেন শিক্ষার্থীরা।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করতে ড. কাজী আবু তাহেরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যবিশিষ্ট ইউজিসির তদন্ত কমিটি গত ২৭ জুলাই ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে। এ সময় সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডকে অবৈধ দাবি করে এবং ট্রেজারার বনমালী ভৌমিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে ইউনিভার্সিটির ৬৮টি লেনদেনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার বরাবর কমিশনের দেওয়া চিঠিসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাদিকা জান্নাত চৌধুরী যে ভারতের নাগরিকের সে বিষয়টি উল্লেখ করেন।
এর আগে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাগিব আলীও উপাচার্যের বিরুদ্ধে ইউজিসিতে অভিযোগ দেন। পরে তারা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, উপাচার্য ও ট্রেজারারের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন।
ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বলেন, চুক্তিভিক্তিক শিক্ষকতা করেছেন অধ্যাপক সৈয়দা জারিনা হোসেইন। তার বয়স ৭০-এর বেশি। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল যখন তাকে রিলিজ দেওয়া হবে, তখন দুই মাসের বেতন দিয়ে বাদ দেওয়া হবে। আমরা সেটাই অনুসরণ করেছি। আর সহযোগী অধ্যাপক রাজন দাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ভারতীয় নাগরিকের বিষয়ে জানতে সাদিকা জান্নাত চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।