বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৪ এএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:০০ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। প্রবা ফটো
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গুরুত্বপূর্ণ ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে ফটকগুলোতে এসব তালা লাগনো হয়। বিভিন্ন গেটে তালা ঝুলানোর পাশাপাশি সেখানে অবরোধকে সফল করতে আহ্বান জানিয়ে ব্যানার-পোস্টার ঝুলিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, মসজিদ গেট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, চারুকলা অনুষদ এবং সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র এবং বিজ্ঞান লাইব্রেরির ফটকে তালা ঝুলিয়ে ব্যানার-পোস্টার লাগিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।
চারুকলা অনুষদের ফটকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসম্বলিত একটি ব্যানার দেখা গেছে। ব্যানারটিতে লেখা ছিল, ‘অবরোধ, অবরোধ, অবরোধ। রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।’ এ ছাড়া ঢাবি ছাত্রদলের লাগানো পোস্টারগুলোতে লেখা রয়েছে, ‘দেশ বাঁচানোর অবরোধ সফল হোক’, ‘দেশ বাঁচাতে অবরোধ’, ‘দেশ রক্ষার অবরোধ সফল হোক’।
ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল গেটে তালা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবরোধের সমর্থনে চারুকলার গেটসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ গেটগুলোতে তালা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিএনপি ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশ রক্ষার এই আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কিছু আওয়ামীপন্থি শিক্ষক জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছেন। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল তালা মারার কর্মসূচি পালন করে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘দেশের ছাত্র-তরুণ-যুবক থেকে শুরু করে সব পেশা, গোত্র, বর্ণের লোক আজ এই সরকারের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে ইতোমধ্যে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। আমরা মনে করি, দেশের সর্বোচ্চ বিবেকবান শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ নির্যাতন-নিপীড়নের অধ্যায় শেষ করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে গেছে এবং অতীতের মতো এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণের পাশে থেকে এই সরকারের দোসরদের লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে। আমরা এই সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে অচিরেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাস মুক্ত করব ও ৪ কোটি তরুণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করব।