× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

টাকার অভাবে বন্ধ প্রধান ফটকের নির্মাণকাজ: বশেমুরবিপ্রবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:১৯ এএম

আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২২ এএম

বশেমুরবিপ্রবির প্রধান ফটকের নির্মাণকাজ অর্থ না থাকায় বন্ধ রয়েছে। প্রবা ফটো

বশেমুরবিপ্রবির প্রধান ফটকের নির্মাণকাজ অর্থ না থাকায় বন্ধ রয়েছে। প্রবা ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রধান ফটকের নির্মাণকাজ টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। তবে উপাচার্য জানান, প্রধান ফটক নির্মাণের কাজে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর। তারা সময়মতো টাকা আনতে না পারায় নির্মাণাধীন কাজটি শেষ পর্যায়ে এসে বন্ধ হয়ে গেছে।

জানা যায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প পাস হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রজেক্ট ডেভেলপার (পিডি) নিয়োগ করা হয় একই বছরের নভেম্বরে। প্রকল্পের প্রথম মেয়াদ ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০৫ কোটি টাকা বাজেটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করে। তবে প্রথম মেয়াদে প্রকল্পের অন্তর্গত ১৪টি টেন্ডারের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ করা হয়নি। তাই ২০১৮ সালে নতুন করে ২৫৬ কোটি টাকায় আগের প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী পাস হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর এবং প্রকৌশল দপ্তরের প্রকল্পটির বাকি অংশের কাজ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি দ্বিতীয় মেয়াদে সময় বাড়ানো হয়। প্রধান ফটক নির্মাণের জন্য আরডিপিতে বরাদ্দ করা হয় ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং এর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজী মাহবুবুর রহমান ২ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার টাকায় ফটকের নির্মাণকাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এ সময় ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফটকের কাজের জন্য কার্যাদেশের সময় দেওয়া হয়। তবে করোনা মহামারিসহ নানা কারণে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত প্রধান ফটকের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর জানায়। এ সময় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ থেকে বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উন্নীত করা হয়। 

২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদ এক সাক্ষাৎকারে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জুনে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হবে। কিন্তু প্রধান ফটক বাস্তবায়নে ২০২৩ সালের মার্চ পেরিয়ে নভেম্বর শুরু হলেও নির্মাণাধীন কাজের শতভাগ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধান ফটকের নির্মাণাধীন কাজের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এবং এর আর্থিক ব্যয় ৪৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এ বিষয়ে প্রধান ফটকের ঠিকাদার নূর আলী মোল্যা বলেন, ‘কাজ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে রানিং বিলের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। যেগুলো দিয়েছে এগুলো দিয়ে এত দিন কাজ করেছি। আমার কাছে যত টাকা ছিল, তত টাকা দিয়ে এত দিন কাজ চালিয়ে গেছি। কিন্তু এখন আমার কাছে কোনো টাকা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আমাকে কোনো রানিং বিলের টাকা দিচ্ছে না তাই আমি কাজটি সম্পন্ন করতে পারছি না।’

প্রকল্প অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্টের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রজেক্টের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আমরা ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধনী জমা দিই। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে, যা চূড়ান্তভাবে পাশের পর্যায়ে রয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘এটি পাস হওয়ার পরেই আমাদের চাহিদাকৃত অর্থ পাব। মূলত প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে আমরা টাকা পাচ্ছি না।’

মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও প্রজেক্টের নির্মাণাধীন কাজ শতভাগ শেষ না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা কোনো কাজ করতে পারিনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে আমরা কাজগুলো ঠিকভাবে করতে পারিনি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রজেক্টে আমরা ২৫৬ কোটি টাকার মধ্যে ১৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতে পেয়েছি। আরও প্রায় ৮২ কোটি টাকা বাকি রয়েছে। এই টাকাটা হাতে পেলে আশা করি প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে পারব।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব বলেন, প্রধান ফটক নির্মাণ করার জন্য যে টাকার দরকার সে টাকা পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর আনতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘আমি নতুন করে চেষ্টা করছি কীভাবে টাকাটা আনা যায়। আশা করি এক মাসের মধ্যে টাকাটা ব্যবস্থা করে ফটকের কাজ সমাপ্ত করতে পারব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা