ইবিতে ভাঙচুর ও র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং ও চিকিৎসাকেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অন্য তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলার সভায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হেসেন আজাদ। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রথমটি মেডিকেল ভাঙচুরের ঘটনায় রেদোয়ান সিদ্দিকী কাব্য এবং র‍্যাগিং ঘটনায় অভিযুক্ত হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্ত শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছর মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

প্রক্টর শাহাদাৎ হেসেন বলেন, ‘এ ছাড়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অন্য যে তিনজন আছে তারা এক বছর মেয়াদে বহিষ্কার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে তালা দেওয়ার ঘটনায় কেমিস্ট্রি বিভাগে শিক্ষার্থীদের যারা প্রক্টরিয়াল বডির কাজে বাধা দিয়েছিল তাদের সতর্কমূলক চিঠি ও বক্তব্য প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’

গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র‍্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। অন্য অভিযুক্ত শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছর মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এদিকে গত ১০ জুলাই চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।