বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৫৭ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
আর্থিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে তত্ত্বাবধান না করা ও অবহেলা করা এবং সভাপতির দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীকে সতর্ক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় ওই সভাপতিকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সভায় আন্তর্জাতিক বিভাগের ওই সভাপতিকে সতর্কবার্তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন সিন্ডিকেট সদস্যরা।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, ওই সভায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. বেলাল উদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এদিন আলোচনা চলাকালে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বিভাগের সভাপতিকে সতর্ক করা।
সভায় গৃহীত অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো, বেলাল উদ্দীন শেখকে তার বর্তমান পদের এক গ্রেড নিম্নপদে অর্থাৎ সেকশন অফিসার পদে অবনমিত করা এবং চেকসমূহে সভাপতির স্বাক্ষরের সিল ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করতে দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবসমূহের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অধিকতর যত্নবান হতে পত্র দেওয়া।
এর আগে গত মার্চে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অপর্যাপ্ত জনবলের কারণে পরীক্ষা, ক্লাস টেস্ট ও বিভাগীয় কার্যক্রমে সৃষ্ট ভোগান্তি নিরসনসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতিকে সতর্ক করার বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সিন্ডিকেট সভায় দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল; সেগুলো হলো অব্যাহতি দেওয়া অথবা সতর্ক করা। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্ক করাকেই বেটার মনে করায় তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর উপাচার্য বরাবর দেওয়া একটি লিখিত অভিযোগপত্রে আন্তর্জাতিক সভাপতি বিভাগের সভাপতি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে অপমানিত করার অভিযোগ করেন। ডিন তাকে ‘অযোগ্য, অপদার্থ ও বেহায়া’ বলে অপমানিত করেছেন বলে লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।