বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৭ পিএম
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১৮ পিএম
র্যাগিংয়ের আশংকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও জেলা কল্যাণ সংগঠনগুলোকে নবীনবরণের অনুমোদন দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের দাবি, র্যাগিংয়ের আশংকা এড়াতে এই ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমোদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ।
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট কর্তৃক র্যাগিং হতে পারে এমন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলার নির্দেশনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশংকা করছিল যেখানে নবীনদের বড় জামায়েত করা হয় সেখানে র্যাগিংয়ের আশংকা থেকে যায়। আপাতত জাতীয় কর্মসূচি ব্যতীত জেলা কল্যাণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো নবীনবরণ বন্ধ থাকবে।’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী খাতুন নামে এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, র্যাগিং ও ভিডিও ধারণের আলোচিত ঘটনার পর থেকেই এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। র্যাগিং নিয়ে কর্তৃপক্ষ শক্ত অবস্থানে থাকবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জেলা কল্যাণ সমিতিগুলোর সদস্যরা বলেন, র্যাগিংয়ের আশংকায় নবীনবরণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন বন্ধ রাখা কোনোভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অর্থ সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেওয়া।
তাদের দাবি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করে। সংগঠনগুলোর নবীনবরণ অনুষ্ঠানে কখনোই র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে এমন নজির নেই। বরং এসব সংগঠন থেকেই শিক্ষার্থীদের র্যাগিং প্রতিরোধে সর্বদা সচেতন করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব সামাজিক সংগঠন রয়েছে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়া অর্থ সংস্কৃতি ধ্বংস করে দেওয়া। কিছুদিন পর সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা বাধাগ্রস্ত হবে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পুনর্বিবেচনা করা উচিত এবং এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত।’
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নবীনবরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ ব্যাপারে অফিশিয়ালি আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমার কাছে যে সংগঠনগুলো অনুমোদন নিতে আসে আমি তাদের অনুমোদন দিয়েছি। তবে প্রক্টরের অনুমতি নিতে নিষেধাজ্ঞা বা বাধা আছে কিনা এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের ম্যানার শেখানো ও র্যাগিংয়ের বিষয় নিয়ে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। আমি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই, তাই এ বিষয়ে এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না।’