রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:০০ পিএম
‘দেশের গণতন্ত্র কাঠামো ফিরিয়ে আনার জন্য’ পদযাত্রা কর্মসূচি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। প্রবা ফটো
‘দেশের গণতন্ত্র কাঠামো ফিরিয়ে আনার জন্য’ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। ‘সংঘাত নয় শান্তি চাই, গণতন্ত্রের মুক্তি চাই’ স্লোগানে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের জোহা চত্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। দুপুর ১টা পর্যন্ত হেঁটে নগরীর তালাইমারি, সাহেববাজার, মনি চত্বর, লক্ষ্মীপুর, কামারুজ্জামান চত্বর ও ভদ্রা এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন ফরিদ উদ্দিন।
জোহা চত্বরে ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আমিনুল হক, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সংগঠনের রাজশাহীর সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী ও শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে সবাইকে পদযাত্রায় যোগদান করার আহ্বান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন অধ্যাপক ফরিদ। তিনি লেখেন, ‘আমাদের সংবিধান শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আসুন, গণতন্ত্র মেরামতের দাবিতে একটি নির্দলীয় নীরব পদযাত্রায় শামিল হই। গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য, দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটু পথ হাঁটি। গণতন্ত্রের অন্ধকার দূর করতে দেশপ্রেমের একটু আলো ছড়াই। মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অংশ নিই। দেশের জন্য না হয় একটু কষ্ট, কিছু ঘাম, কিছু ক্লান্তি উৎসর্গ করি। অন্তত আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন আমাদের ভীরু, কাপুরুষ না ভাবে।’
কর্মসূচি চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র কার্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত, বিপন্ন। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ আজ চরমভাবে নিষ্পেষিত ও উপেক্ষিত। বাক্স্বাধীনতা নেই, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং বিরোধী দল ও মতের প্রতি দমন-পীড়ন মাত্রা ছাড়িয়েছে। এই নাজুক অবস্থার সুযোগে বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তির তৎপরতা বেড়েছে, তারা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। দীর্ঘ মেয়াদে এটা দেশের জন্য মোটেও কল্যাণকর হবে না।’ তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে সেই দেশে দুর্নীতি, অবিচার দানাবাঁধে। তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অযৌক্তিক হারে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি করে।’