বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৫ পিএম
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২০ পিএম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শেখ রেহানা হলের নির্মাণকাজ বন্ধের হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রকৌশল শাখার পূর্তনির্মাণ ও সংরক্ষণ বিভাগের উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে বিল করিয়ে নেওয়াসহ নানা অভিযোগ করেছেন শেখ রেহানা হলের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাইট প্রকৌশলী মো. আনোয়ার বিন আরাফাত। গত বৃহস্পতিবার কাজের অনুকূল পরিবেশ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রকৌশলী আরাফাত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রকৌশলী আল মামুন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে দুটি ছাত্রী হলের (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) নির্মাণকাজ চলছে। হল দুটির জন্য আর্থিক বরাদ্দ ১০২ কোটি টাকা। এরই মধ্যে শেখ রেহানা হলের পাইলিং কাজ শেষ হয়েছে। মাহবুব ব্রাদার্স অ্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড এবং অনিক ট্রেডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড কোম্পানি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান মিলিতভাবে শেখ রেহানা হল নির্মাণের কাজ করছে। তবে হল নির্মাণে নানা অভিযোগ তুলে প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শেখ রেহানা হলের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাইট প্রকৌশলী মো. আনোয়ার বিন আরাফাত।
আনোয়ার জানান, প্রকৌশলী আল মামুন আমাদের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বাধার সৃষ্টি করছেন। হল নির্মাণের নির্দেশ এবং আর্থিক বরাদ্দের হিসাব ২০১৪ সাল অনুযায়ী হলেও বর্তমানে কাজ চলছে ২০২২ সালের উপাদান সামগ্রীর বাড়তি দরদাম অনুযায়ী। বর্তমান পরিস্থিতিতে লোকসান হলেও আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এ অবস্থায় কাজ বন্ধ করার হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন প্রকৌশলী আল মামুন।
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আল মামুন বলেন, আর্থিক লেনদেন বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আলোচনা সভায় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করতে পারতেন। বরং আমি তাদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত। তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ ছবিসহ আমার কাছে আছে।
প্রধান প্রকৌশলী শাহীন ইসলাম খান বলেন, যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে একে অপরের মতের অসামঞ্জস্যতা আসা স্বাভাবিক। ঠিকাদারের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আমাদের কাছে যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে প্রকৌশলী আল মামুনকে সতর্ক করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমার জানামতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকৌশলী আল মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে লেনদেনজনিত কোনো অভিযোগ আমার কাছে এখনও পর্যন্ত আসেনি। আমার কাছে অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়ম বা দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না।