বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৫৭ পিএম
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৯ পিএম
ঢাবি শিক্ষার্থী ফিরোজ কাজীর হলের কক্ষে এই চিরকুট পাওয়া গেছে। প্রবা ফটো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ভবন থেকে পড়ে জিয়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তিনি হলের কততলা থেকে পড়েছেন, কীভাবে পড়েছেন, তার মৃত্যুর পেছনে রহস্য কী – এসবই এখন সহপাঠীদের প্রশ্ন। সেসবের কোনো সুরাহা না পাওয়া গেলে সামনে এসেছে ফিরোজ কাজী নামের এই শিক্ষার্থীর লেখা একটি চিরকুট।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলে থাকতেন। তার কক্ষ নম্বর ২০৩। সেখানে ফিরোজের টেবিলের ওপর একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতিদিনের বাংলাদেশের হাতে আসা চিরকুটে দেখা যায়, একটি পাতায় দুইভাগে কিছু বিষয় নিয়ে লেখা রয়েছে। দুই অংশের ওপরে ফিরোজের স্বাক্ষর ও সময় উল্লেখ করা আছে। পাতার ওপরের অংশে তারিখ লেখা ১৯.০৯.২০২৩।
চিরকুটে লেখা আছে, ‘মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই, এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই। আমারে মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’
আরও পড়ুন: ঢাবির বিজয় একাত্তর হলের ভবন থেকে পড়ে জিয়া হলের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দ্বিতীয় অংশে লেখা রয়েছে, ‘আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুারোধ রইলো মায়ের হাতে দিতে। ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। কোনোরূপ আইনী ঝামেলায় কাউকে যেনো জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট কারতে চাই না।’
চিরকুট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যতটুকু এভিডেন্স আমাদের কাছে আছে, তা হলো একটি সুইসাইড নোট। সে যখন রুম থেকে বের হয়েছে, তার মোবাইলফোন, মানিব্যাগ ও সুইসাইড নোট রুমে রেখে গিয়েছিল।’