প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০০ পিএম
সংগৃহীত ছবি
জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম
স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে অন ক্যাম্পাস
স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে ৫ কর্মদিবসের
মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইউজিসির এক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তাদের বিধিবিধান দেখে বাস্তব চাহিদার ভিত্তিতে এই শিক্ষা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বিধায় ইউজিসি এ নির্দেশনা দিয়েছে। গত সোমবার কমিশন কর্তৃপক্ষের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গত ২০ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি ইউজিসি কর্তৃপক্ষের নজরে এলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইউজিসির
এই নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির সব কার্যক্রম স্থগিতকরণসহ
কিসের ভিত্তিতে অন ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগামে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,
সে বিষয়ে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ
করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, চিঠিটি আমিও পেয়েছি। কেন ইউজিসি এই নির্দেশনা দিয়েছে তা তারা ভালো বলতে পারবে। তবে আমরা আমাদের বিধিবিধান দেখে বাস্তব চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষা সম্প্রসারণ করে থাকি। সবচেয়ে বড় কথা, কলেজগুলোতে পাঠদান করাতে যে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, খাতা মূল্যায়ন, নতুন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট করা হয় তার জন্য আমাদের পরীক্ষণ করা হয় না। সেই পরীক্ষণ করার জন্য আমরা মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অনার্স চালু করেছি। ইউজিসির চিঠির পেক্ষিতে আমরা আমাদের বিধিবিধান উল্লেখ করে জবাব দেব।
তবে ইউজিসির চিঠির ভাষা ব্যবহার নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা আমাদের এই বিষয়ে প্রথম চিঠি দিয়েছে। প্রথম চিঠিতে তারা বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখা চাইতে পারে। তবে তারা যে সুস্পষ্ট বিধি লঙ্ঘনের কথা বলেছে, তা বলতে পারে না। এটি একমাত্র আদালত বলতে পারেন। চিঠির ভাষা প্রয়োগের ব্যাপারে তাদের আরও সতেচন ও যুত্নবান হওয়া উচিত। না হলে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক নষ্ট হবে। ইউজিসি আমাদের একটি বডি, যে বডি বিশ্ববিদ্যালগুলোকে সমন্বয় করে, নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করবে। এখন যদি তারা প্রথম পত্রেই বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের কথা বলে তাহলে আলাপ-আলোচনা কিংবা ব্যাখ্যার জায়গা থাকে না।