বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৩ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৮ পিএম
রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। প্রবা ফটো
বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে সেখানকার শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের আলোকেই বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, ’শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে ছাত্ররাজনীতির কিছুটা পরিবর্তন থাকার প্রয়োজন—এটা আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিশেষ করে, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র আর একটি মেডিকেল কলেজ কিংবা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য থাকা উচিত। আমাদের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য যে ধরনের বাস্তবতা রয়েছে, সেখানকার শিক্ষার্থীদের একাডেমিক এনভায়রনমেন্ট, ক্যারিয়ার কী ধরনের হয়, সিলেবাস কী ধরনের রয়েছে, সেখানকার শিক্ষার্থীদের কী ধরনের প্রয়োজন রয়েছে—সেই প্রয়োজনের আলোকেই ছাত্ররাজনীতি ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের গণতন্ত্র বাস্তবায়ন ও উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের কথা বলেন, সেই গণতন্ত্রকে শুধু ভোটাধিকার ও এক দিনের উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন না। সেটির সব থেকে বড় প্রমাণ বিশ্বের ১০টি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্বে সব থেকে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।’
এ সময় রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সম্মেলনের উদ্বোধক ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু সাইদ কনক ও এনামুল হক তানান।