পাবনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৩২ পিএম
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫১ পিএম
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি)। ফাইল ছবি
পাবনা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের ঘটনায় এক ছাত্রীকে সাময়িক
বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ঘটনা খতিয়ে দেখতে অ্যান্টি-র্যাগিং
কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার
(১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপপরিচালক
ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের
এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কার হওয়া ওই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রোকাইয়া। আর ভুক্তভোগী ইতিহাস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপত্বিতে তার
কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল
খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কেএম সালাহ উদ্দীনসহ ছাত্র উপদেষ্টা, সহকারী ছাত্র উপদেষ্টা,
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও সকল বিভাগের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। সভায় ইতিহাস
বিভাগের এক শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে
সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর
লিখিত অভিযোগের পরপরই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে একজনকে সাময়িক বহিষ্কার
করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্টি-র্যাগিং কমিটি রয়েছে। তাদের ঘটনা তদন্ত
করে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী অন্যান্যদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে পাঁচ তলা রব্বেজ টাওয়ারে অনেক ছাত্রী
ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে
নিজেদের রুমে ডেকে নেন সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিমু রানী তালুকদার নিজেকে অসুস্থ
দাবি করে যেতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে
র্যাগিং করেন। এ সময় সে গুরুতর অসুস্থ হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক
শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা
করেছেন মেসের মালিক আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসন কাজ
শুরু করে।