× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে খুঁড়িয়ে চলছে শেকৃবি ছাত্রলীগ

সিরাজুদ্দৌলা আরাফাত, শেকৃবি

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৫৬ এএম

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে খুঁড়িয়ে চলছে শেকৃবি ছাত্রলীগ

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ছাত্রলীগ। এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হলেও পেরিয়ে গেছে ছয় বছর। এ সময়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন প্রথম সারির অধিকাংশ নেতা। বিয়ে করে সংসার পেতেছেন অনেকে। একই সঙ্গে কর্মিসংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে শাখাটির কার্যক্রমও। এতে হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। তাদের অনেকেরই প্রশ্ন, নতুনরা সুযোগ পাবে কবে?

২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর এসএম মাসুদুর রহমান মিঠুকে সভাপতি এবং মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য ১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সে হিসাবে এ কমিটির বর্তমান বয়স প্রায় ছয় বছর। কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই দীর্ঘদিন চলছে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগ। 

এদিকে কমিটি ঘোষণার দুই বছর পর ২২২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেই কমিটির শতাধিক নেতাকর্মীই বর্তমানে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। কমিটিতে পদে থাকা অনেক নেতাই চাকরিতে যুক্ত হয়ে গেছেন। ২০১৭ সালে ঘোষিত ১৪ সদস্যের কমিটির ১০ জনই এখন চাকরিজীবী এবং বিবাহিত। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের মধ্যে সহসভাপতি গৌতম রায়, আতাউর রহমান বাপ্পী, আসিফ ইবনে আমেজ মিম ও আবির আহমেদ মিথেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, মাহমুদুল হাসান সোহেল ও চৈতি দে পূজা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সোনিয়া নুসরিন সুমি ও আজমীর তুলি দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন। তাদের বেশিরভাগই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার এবং শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। একই সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আলী পলাশসহ অনেকেই বিয়ে করছেন। জানা গেছে, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও ভিড়েছেন বিবাহিতদের দলে। 

শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা মনে করছেন, এক কমিটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকার ফলে অধিকাংশ নেতাই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে সাংগঠনিক দায়বদ্ধতা কমে গেছে। এ অবস্থায় দিনকে দিন বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ছে শাখা ছাত্রলীগ।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের জয়-লেখক কমিটি থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গত বছরের ২৯ জুন সম্মেলনের তারিখ ঠিক করা হয়। তবে অজানা কারণে তার আগের রাতে স্থগিত করে দেওয়া হয় সম্মেলনটি। সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, উপর মহলের চাপেই সেদিন সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও আর সম্মেলনের ডাক পড়েনি। এতে হতাশ হয়ে নেতাকর্মীরা রাজনীতির মাঠ ছেড়ে চাকরির পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। 

এদিকে কাগজকলমে অর্ধসহস্রাধিক পদধারী নেতাকর্মী থাকলেও তাদের কর্মসূচিতে পাচ্ছেন না শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। আগস্টে কোনো শোকসভা বা আলোচনা সভারও আয়োজন করতে পারেননি তারা। 

জানা গেছে, শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে রয়েছেন ২২২ জন। এ ছাড়া কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল কমিটিতে ১০১ জন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা হল কমিটিতে ৮১ জন, শেরেবাংলা হল কমিটিতে ৮৫ জন, কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হল কমিটিতে ৫৩ জন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল কমিটিতে ৪৮ জন নেতাকর্মী রয়েছেন। শাখাটির কেন্দ্রীয় ও হল কমিটিতে মোট ৫৯০ জন পদধারী নেতাকর্মী রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদপ্রত্যাশী এক উপসম্পাদক বলেন, আগস্ট মাস গেল, তারা (মিঠু-মিজান) কোনো শোকসভা বা আলোচনা সভা আয়োজন করতে পারল না। ক্যাম্পাসের ও জাতীয় প্রোগ্রামগুলোয় তারা কর্মীদের উপস্থিত করতে পারছে না। প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারির ডাকে বড় জোর ৫০ থেকে ৬০ জন বের হয়। বেশিরভাগ কর্মী তো নতুন কমিটির প্রার্থীদের। শেকৃবি ছাত্রলীগের আরেক নেতা বলেন, নেতৃত্বের পরিবর্তন দরকার। সাংগঠনিক গতিশীলতা দরকার।

এ ইউনিটের কর্মী খরা নিয়ে চিন্তিত কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দও। সম্প্রতি ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। এতে অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন অতিথিরা। পরে কয়েকজন পদপ্রত্যাশী আলাদাভাবে নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে উপস্থিত হন। 

২৮ আগস্ট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে কেআইবি ও বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে যেন ২৫ আগস্টের মতো কর্মিসংকট দেখা না দেয়, তাই শুধু মিঠু-মিজানের প্রতি ভরসা না করে পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেন কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ।

নতুন কমিটির বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা কমিটিগুলো নিয়ে কাজ করছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতি শিগগিরই সব জায়গায় নতুন করে কমিটি দেওয়া হবে।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা