প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৩ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩১ পিএম
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। প্রবা ফটো
যোগ্য সব কর্মকর্তার পদোন্নতি, স্কেল আপগ্রেডেশনসহ ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চত্বরে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। এতে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দুই শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশ নেন।
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘পদোন্নতির জন্য আমাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। পদসৃজন না হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ১২ হাজার ৪৪৪টি পদসৃজন ৯ বছর ধরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এখন আবার জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় বলছে, আগের পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। তাহলে এত দিন কেন ঝুলিয়ে রাখা হলো? আমরা ধারনা করছি, ফের একটা দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁদ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাডার কম্পোজিশন এখনও অক্ষত আছে। যদি সংস্কার করতে হয় তাহলে সেটা কারা করবে? অবশ্যই যারা শিক্ষা ক্যাডারে আছেন তাদের পরামর্শে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।’
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদেরই দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী। বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে এমনিটাই আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান কমে গেছে। শিক্ষণ ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এটা হচ্ছে ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে। শিক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম, দায়িত্ব শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যক্তিদেরই দিতে হবে। আমাদের ঘর থেকে তো আমাদের সরিয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের ঘরে আমরাই থাকব।’
শিক্ষক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে জানিয়ে সমিতির সভাপতি বলেন, ‘২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ শিক্ষকেরাই গড়ে তুলবে। কিন্তু তাদের প্রাপ্য সম্মান, অধিকার যদি না দেওয়া যায় তাহলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না। পদসৃজন করেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেন। আমরা নতুন কিছু চাই না।’
অনেক শিক্ষক তাদের যথাযথ অধিকার ও মর্যাদা না পেয়ে শিক্ষকতা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলেও দাবি করেন অধ্যাপক শাহেদুল। বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ক্যাডারে জুনিয়র সহকর্মীরা তাদের অধিকার না পেয়ে চরম হতাশায় আছেন। অনেকেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন।’
সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্ল্যা বলেন, পদোন্নতি বঞ্চনা শিক্ষকদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। পদোন্নতির মতো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করা হয়। পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জনের পরও বছরের পর বছর শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক মো. দবিউর রহমান, অধ্যাপক মো. মামুন উল হক, অধ্যাপক ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচার সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর, আইন সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।