পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩০ পিএম
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০৩ পিএম
জিরি খলিল মীর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়। ছবি :সংগৃহীত
শিক্ষক কম্পিউটার বিভাগের। বিদ্যালয়ের ক্লাস রুটিন অনুযায়ীও তিনি নিয়মিত নবম-দশম শ্রেণির কম্পিউটার ক্লাস নিয়ে থাকেন। কিন্তু দায়িত্ব নেন এসএসসি পরীক্ষার ব্যবসা উদ্যোগের খাতা মূল্যায়নের। এমনকি ওই শিক্ষকের অধীনে যে দুজন নিরীক্ষক ছিলেন তাদের মধ্যেও একজন ইসলাম ধর্মের শিক্ষক, অন্যজন লাইব্রেরিয়ান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জিরি খলিল মীর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক ও প্রধান নিরীক্ষক রিটন কুমার নাথের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার খাতা অবমূল্যায়নের এই অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, রিটন কুমার নাথ পটিয়ার খলিল মীর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ২০১৪ সালে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের পর থেকে তিনি নবম দশম শ্রেণিতে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিয়ে আসছেন। কিন্তু গত এসএসসি পরীক্ষার পর ব্যবসায় উদ্যোগের খাতা মূল্যায়নের জন্য তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী তিনি যথারীতি দায়িত্বও পান। তার অধীনে যে দুজন নিরীক্ষক ছিলেন তারাও বিদ্যালয়ে অন্য বিষয়ে পাঠদান করতেন।
জানতে চাইলে অভিযোগকারী অভিভাবক আবদুল জলিল জানান, এসএসসির ব্যবসায় উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু কম্পিউটার, ইসলাম ধর্ম ও লাইব্রেরিয়ান কীভাবে এ বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন ও নিরীক্ষা করবেন? তা আমাদের বুঝে আসে না। এ বিষয়ের শিক্ষক না হয়েও কীভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে খাতা মূল্যায়নের দায়িত্বপান অন্য বিষয়ের শিক্ষকরা। এটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি লজ্জাজনক বিষয়। এর মাধ্যমে আমাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় অবমূল্যায়ন ও ভুল মূল্যায়ন হচ্ছে। এর দায় নেবে কারা। বিধি অনুযায়ী এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে রিটন কুমার নাথ বলেন, আমাকে ব্যবসায় উদ্যোগের খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব কেন দেওয়া হয়েছে সেটা শিক্ষা বোর্ডের বিষয়। আপনি বোর্ডে যোগাযোগ করে জিজ্ঞাসা করেন আমাকে কেন এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
জিরি খলিল মীর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদ আলম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো হাত নেই। আমি কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি জানতে চেয়ে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আকতার জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেব।