রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪২ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য দেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। প্রবা ফটো
লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম আছে। পিএইচডি করে তারা (শিক্ষার্থী) বের হয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু দেশের তেমন কোনো কাজে আসছে না। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক সেমিনারের উদ্বোধনী সেশনে সম্মানীয় অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের প্রকৌশল অনুষদ গ্যালারিতে ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে সে অনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার ওপর জোর দিয়ে মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের দেশে গবেষণার সংস্কৃতি তৈরি করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশে সেই সুযোগ না থাকায় তারা বিদেশে চলে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় আরও মনোযোগী, শিক্ষার্থীদের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গবেষণার সুযোগ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে মোকাবিলা করার জন্যও সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. সুলতান-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মো. হুমায়ুন কবীর, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (আরআই) ড. মো. আকিব হোসেন এবং রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি সুলতানুল মাহমুদ। প্রকৌশল অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক আবু জাফর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৭ জন শিক্ষক, ১০০ জন শিক্ষার্থী, ২৫ জন অ্যালামনাই এবং ২২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশ নিয়েছেন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো সিজিপিএ নিয়ে বের হলেও তাদের অর্জিত জ্ঞান যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছে না। উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার সুযোগ করে না দেওয়ার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে চলে যাচ্ছে। কারণ বিদেশে তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণহীন সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করছি, তা যথাযোগ্যভাবে প্রয়োগ করতে পারছি না। বিশ্ব যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে আমাদের তাল মিলিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আমাদের উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।’