বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:১৯ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা। প্রবা ফটো
ভারতের চাঁদে সফল অবতরণ দেখে হিংসা হয় বলে জানিয়েছেন কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজ আয়োজিত আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘ভারতের চন্দ্রযান গতকাল চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে। এটা দেখে আমার হিংসা হয়েছে। আমার দুঃখ লাগে, আমরা এখনও প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসর হতে পারিনি। আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইলন মাস্কের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু আজ বেঁচে থাকলে এটা হতে দিতেন না। প্রযুক্তির দিকে বঙ্গবন্ধুর একটা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। সে বিষয়ে তার লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইতে তিনি আলোকপাত করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে জয় বাংলা স্লোগানের মধ্য দিয়ে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যার পর পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের আলোকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগানের আর্বিভাব ঘটানো হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা দেখতে পেলাম, যারা এতদিন আমাদের দেশকে স্বীকৃতি দেয়নি তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে থাকল। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, চীন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। এরপর আমরা দেখলাম যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত তারাই দেশের মন্ত্রীদের চেয়ারে। এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অপেক্ষা করছি কবে শুনতে পাব পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাকিস্তানের অবস্থা এখন খুবই নাজেহাল। এরই মধ্যে তারা নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়া বাকি আছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আমাদের দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় থাকতে না পারে সেজন্য দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত চালাচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন আরা বেগমের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাসির হাসানেরসঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড কামাল উদ্দীন আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা, অধ্যাপক লাইসা আহমদ লিসা ও স্বাধীনতা শিক্ষক সমাজের সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মো. নাসির উদ্দীন।