বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৩ পিএম
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৪৬ পিএম
ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন। প্রবা ফটো
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের দায়ে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা অন্তরা চৌধুরীসহ পাঁচজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার ছয় মাস পর সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন।
পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের পর সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দেরিতে হলেও কর্তৃপক্ষ একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্তরাসহ অন্যদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার, এটিই আমার প্রথম থেকে চাওয়া ছিল। আমি সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যাতে এ ধরনের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হয়।’
আরও পড়ুন: স্থায়ী বহিষ্কারের খবরে ভেঙে পড়েছেন অভিযুক্তরা
তিনি বলেন, ‘আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কোথাও এই শাস্তির কথা মনে রেখে আর অন্য কেউ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে না।’
বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা অন্তরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম, একই বিভাগের মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শাখা ছাত্রলীগ ও হাইকোর্ট থেকে পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়াও হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।