ফুলপরীকে নির্যাতন
বিশ্ববিদ্যাল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৩০ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩৬ পিএম
বহিষ্কার হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফুলপরী খাতুন নামে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৫ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনার ৬ মাস পর চূড়ান্ত এ রায় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম আলী হাসান।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা অন্তরা চৌধুরী এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম ইসলাম, একই বিভাগের মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শাখা ছাত্রলীগ ও হাইকোর্ট থেকে পৃথক ৪টি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়াও হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।
ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক, আবাসিক বা অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্য চার ছাত্রী হলেন হালিমা আক্তার, ইসরাত জাহান, তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান।
ওই ব্যবস্থা যথাযথ প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে হাইকোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৭ সালের কোড অব কন্ডাক্টস অব দ্য স্টুডেন্টস (শিক্ষার্থী শৃঙ্খলাবিধি) অনুসরণ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীর শাস্তি নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। গত ২৬ জুলাই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
রবিবার (২০ আগস্ট) উপাচার্যের সভাকক্ষে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং সেটি হাইকোর্টে পাঠানো হবে।