রাবিতে ভর্তি জালিয়াতি
রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩০ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩৬ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনের নামে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় গ্রেপ্তার এক শিক্ষার্থীর মা তার সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ তুলে রাবির চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি রুহুল আমিন জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় মামলাটি করেন রাবির রেজিস্ট্রার মো. আবদুস সালাম। আসামি হলেন পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে প্রথম বর্ষে ভর্তি শিক্ষার্থী মো. আহসান হাবিব ইমন, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী প্রাঙ্গণ, শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু এবং একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী সাকিব।
তাদের মধ্যে আহসান হাবিব ইমনকে বৃহস্পতিবার রাতে রাবি প্রশাসনের মাধ্যমে মতিহার থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া তন্ময়ের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় রাবির ভর্তি জালিয়াতির একটি মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলায়ও তিনি পলাতক।
এদিকে গ্রেপ্তার আহসান হাবিব ইমনের মা মতিহার থানায় একটি অপহরণের মামলা করেছেন। যেখানে আসামি করা হয়েছে তন্ময়, প্রাঙ্গণ, সাকিব ও রাজুকে।
উভয় পক্ষের থানায় করা অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, আহসান হাবিব ইমন রাবিতে ভর্তি হতে প্রাঙ্গণের সঙ্গে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। প্রাঙ্গণ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে ইমনের পরিবর্তে অন্যজনকে বসিয়ে পরীক্ষা দেওয়ায় ইমন চান্স পান। চুক্তির মধ্যে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ এবং ৬০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার আহসান হাবিব ইমন তার মাকে সঙ্গে করে রাবিতে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হতে এলে বাকি টাকা আদায়ের জন্য বিকাল আনুমানিক পৌনে ৩টার দিকে ইমনকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের সঙ্গে জড়িত প্রাঙ্গণ, তন্ময়, সাকিব, রাজুসহ আরও চার-পাঁচ যুবক ছিল। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইমনের মা সন্তানকে না পেয়ে রাবি প্রশাসনের কাছে জানান। রাবি প্রশাসন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইমনকে শেরেবাংলা হল থেকে উদ্ধার করে এবং ভর্তি জালিয়াতির ঘটনা জানার পর তাকে মতিহার থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।