× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রাবিতে ছাত্রলীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতার কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

রাজশাহী অফিস

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৫৩ পিএম

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৪ পিএম

দুই ছাত্রলীগ নেতা আলফাত সায়েম জেমস ও আল আমিন। প্রবা ফটো

দুই ছাত্রলীগ নেতা আলফাত সায়েম জেমস ও আল আমিন। প্রবা ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) এক ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি অভিযোগকারীর। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) হল প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগ ওঠা ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমস ও সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপ-সম্পাদক আল আমিন। অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা রাবির ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম। তিনি শের-ই-বাংলা হল ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।

অভিযোগপত্রে নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন, গত মঙ্গলবার রাতে শের-ই-বাংলা হলের রিডিং রুমে পড়ছিলেন নজরুল। পাশেই উচ্চ স্বরে মোবাইলে কথা বলছিলেন ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন। এ সময় নজরুল তাকে জোরে কথা বলতে নিষেধ করলে আল আমিন তার ওপর চড়াও হন। দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এ সময় নজরুলকে হুমকি দিয়ে আল আমিন বলেন, ‘তুই জানিস আমি তোর কী অবস্থা করতে পারি?’

এরপর আল আমিন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর দুজনে মিলে নজরুলকে শের-ই-বাংলা হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে গিয়ে দরজা আটকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে নজরুল মাটিতে পড়ে যান এবং তার কান দিয়ে রক্ত বের হয়। এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ জানালে অথবা কাউকে বললে তাকে আবারও মারা হবে বলে হুমকি দিয়ে তারা চলে যান বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শের-ই-বাংলা হল প্রাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমি দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। কিন্তু সেসময় নজরুল আমাকে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি জানায়নি। তবে হল প্রাধ্যক্ষ হিসেবে তার নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করব। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর অভিযুক্ত আল আমিন যদি আমার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী না হয়ে থাকে তাহলে তাকেও হল থেকে বের করার ব্যবস্থা করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘এটি যেহেতু হলের বিষয়, তাই এটি হল প্রাধ্যক্ষ সমাধান করবেন। তারা আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আমি হল প্রাধ্যক্ষের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তিনি বিষয়টি সুরাহা করেছেন।’

ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাম কানে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। আর সেই কানেই আঘাত করায় কান দিয়ে প্রচুর রক্তপাত হয় ও আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক আমাকে বলেন, আমার কানের যে সমস্যা হয়েছে তা সেরে তুলতে বেশ সময় লাগবে এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করাতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং নিরাপত্তার সঙ্কায় আছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন বলেন, ‘সেদিন আমাদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে সেটি জেমস ভাই ও প্রভোস্ট স্যার মিলে সমাধান করে দিয়েছেন। এখন তিনি তৃতীয় কোনো পক্ষের প্ররোচনায় সহানুভূতি কুড়ানোর জন্য অভিযোগটি করেছে। আর তার বাম কানের সমস্যাটা নতুন নয়। তিনি ৩-৪ বছর ধরে চিকিৎসা করাচ্ছেন।’

বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেমস বলেন, ‘গত ১ আগস্ট রাতে নজরুল ইসলাম ও আল আমিনের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে আল আমিন আমাকে মোবাইল ফোনে কল করেন। পরে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে দুজনের মধ্যে মিটমাট করে দিই। পরদিন হল প্রভোস্ট স্যার তাদেরকে ডেকে অফিশিয়ালি এ সমস্যার মীমাংসা করে দেন। আমি সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমি যতদূর শুনেছি এ ঘটনার সমাধান প্রভোস্ট স্যার করে দিয়েছেন। এরপরেও কারও প্ররোচনায় এ ধরনের অভিযোগ নজরুল ইসলাম করল সেটি আমার জানা নেই।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা