গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩ ২১:২৬ পিএম
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং (এনসিআইএম ২০২৩)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। প্রবা ফটো
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) দুই দিনব্যাপী ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং (এনসিআইএম ২০২৩)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু হয়েছে। ডুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) আয়োজনে ‘রূপকল্প ২০৪১’ অর্জনের লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থী, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের মানসম্পন্ন গবেষণায় সহায়তা ও উৎসাহিত করতে এ কনফারেন্স হচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। কনফারেন্সে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহ হচ্ছে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, স্পেন, ভারত, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনষ্ক ও শিক্ষিত করে তোলার প্রচেষ্টা করেছেন। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে বর্তমান সরকার তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সকল কার্যক্রম পরিচালনার ধারা অব্যাহত রেখেছে। এতে কর্মক্ষেত্রে নানা অসুবিধাগুলো দূর হয়ে সময়, শ্রম লাঘব হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শিল্পবিপ্লবে যে সকল প্রতিবন্ধকতা ছিল তা কাটিয়ে উঠে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে ডিজিটাল সক্ষমতা সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা তৈরি হওয়ায় বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে মানবজাতির জীবনযাপন, কাজ এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা নতুন নতুন মাত্রা দেখতে পাচ্ছি। আগামী কয়েক বছর অর্থনীতি এবং শিল্পসহ সকলক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে। এ প্রভাব মোকাবেলায় ‘নেক্সট জেনারেশন কম্পিউটিং, আইওটি অ্যান্ড মেশিন লার্নিং’ বিষয়টি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সমাজ যেন অনুভূতিহীন হয়ে না পড়ে, সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
সিএসই বিভাগের প্রধান ও কনফারেন্সের জেনারেল চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন সেশন চেয়ার আই-ইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আরেফিন ও অরগানাইজিং সেক্রেটারি ও সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের অরগানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কাশেম, অরগানাইজিং কো-চেয়ার ও সেশন কো-চেয়ার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম কমিটি চেয়ার অধ্যাপক ড. ফজলুল হাসান সিদ্দিকী। এ সময় আই-ইইই পক্ষ থেকে ভিডিও বার্তা দেন আই-ইইই চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান।
দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ থেকে ২০০ জনের অধিক গবেষক অংশগ্রহণ করছেন এবং ৮৪টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হবে। অংশগ্রহণকারীদের উপস্থাপনা ও কাজের ভিত্তিতে সেরাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।