বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩ ১৩:৫৮ পিএম
আপডেট : ০৮ জুন ২০২৩ ১৮:৪০ পিএম
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলমের উপস্থিতিতে পানি খেয়ে অনশন ভাঙেন প্রত্যয়। প্রবা ফটো
আট দিন পর অবশেষে অনশন ভেঙেছেন গণরুম বিলুপ্তিসহ তিন দফা দাবিতে অনশনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। প্রত্যয়ের ছয়টি লিখিত শর্ত মেনে নেওয়ার আশ্বাসে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলমের উপস্থিতিতে পানি খেয়ে অনশন ভাঙেন তিনি।
এর আগে সকালে হল প্রাধ্যক্ষকে ছয়টি লিখিত শর্ত দেন প্রত্যয়।
শর্তগুলো হলো : হলে অবস্থানরত সব শিক্ষার্থী ও আসন সংখ্যার হিসাব তালিকা তৈরি; ১৫ দিনের মধ্যে ফাঁকা কক্ষগুলো প্রশাসনিকভাবে সিলগালা করা; যেসব আসনে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে, তাদের আসনে বৈধ শিক্ষার্থীদের তুলে দেওয়া ও তার তালিকা প্রকাশ; মেয়াদোত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগে বাধ্য করা; সব বিষয়ে হল প্রশাসনকে সাংবাদিকদের তথ্যের আপডেট দিয়ে সহযোগিতা করা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবেন।
এসব শর্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে— এ মর্মে হল প্রাধ্যক্ষ শর্তে স্বাক্ষর করলে প্রত্যয়ও সেখানে স্বাক্ষর করেন এবং অনশন ভাঙেন।
অনশন ভাঙার পর প্রত্যয় বলেন, ‘প্রশাসন এতদিন ধরে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখাতে পারেনি। প্রভোস্ট স্যার খসড়া তালিকা দেখিয়েছেন। আমার তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা মেনে নিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি অনশন ভেঙেছি। যদি কথা না রাখেন, আমি পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টার সময় আমার ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পানি পান করে প্রত্যয় অনশন ভাঙেন। আমরা দুজনই কয়েকটি শর্তে একটি চুক্তি করেছি। তার দাবিগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যা থেকে তিন দফা দাবিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের মাঠে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। একই হলের আবাসিক ছাত্র তিনি। প্রত্যয়ের দাবিগুলো ছিল : গণরুমের বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের হল ত্যাগে বাধ্য করা এবং গণরুমে অবস্থানরত সব বৈধ শিক্ষার্থীর আসন নিশ্চিত করা।