বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩ ১৮:৪২ পিএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩ ২০:২৭ পিএম
মারামারির ঘটনায় আটক দুইজন। প্রবা ফটো
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রেমঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত দুই যুবকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাকৃবির শিক্ষার্থীরা বাধা দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (০২ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় রেলক্রসিং এলাকার তৃপ্তি হোটেলের পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত তিন জনের মধ্য দুইজন বাকৃবির পশুপালন আনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত আরেকজন ত্রিশালের বাসিন্দা মাহমুদ হোসেন প্রিন্স।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়। এ দুজন হলেন ময়মনসিংহ বড় বাজারের মো তাহমিদ আনন ও মাহমুদুল হাসান নিঝুম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে তাদের মারধর শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আহত মাহমুদ হোসেন প্রিন্স বলেন, ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের একছাত্রীল সঙ্গে আমার অনেকদিনের প্রেমের সম্পর্ক। আজকে আমার সাথে দেখা করতে বাকৃবিতে আসতে বললে আমি ত্রিশাল থেকে এখানে আসি। কিন্তু বাকৃবি ক্যাম্পাসে তখন সে উপস্থিত ছিল না। এ সময় তার অপর প্রেমিক ও তার বন্ধুরা আমার সাথে বাজে ব্যবহার করে ও আমাকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার ভাইয়ের বন্ধুরা উদ্ধার করতে আসলে তাদেরকেও মারধর করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. সাঈদুর রহমান বলেন, তিনজনকে আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন হাতে ও অন্যজন পায়ে আঘাত পেয়েছে। তাদেরকে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনায় জড়িতদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের একটি কক্ষে আবদ্ধ রেখে পরে যোগাযোগ করার কথা বলেন। কিন্তু পরে কোতোয়ালি থানার মোবাইল টিম কোনো রকম কথা বলার সুযোগ না দিয়ে পুলিশের জড়িতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
সহকারী প্রক্টর ড. মো শফিকুল ইসলাম বলেন, আজকে দুপুরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। জড়িত দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় জিজ্ঞাসাবাদ করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।