পাবনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩ ১৮:২০ পিএম
আপডেট : ০২ জুন ২০২৩ ১৮:৩৬ পিএম
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ফটক। সংগৃহীত ফটো
লিফট কিনতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সেই ছয় কর্মকর্তার তুরস্কযাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে এটি বাতিল করা হয়।
শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারুক হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তুরস্কের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ ছাড়ার আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ নির্দেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলসহ মোট পাঁচটি আধুনিক ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণাধীন ভবনগুলোর জন্য কেনা হবে ২৫টি লিফট। এসব লিফট কেনা ও তদারকির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল আগামী ৬ জুন তুরস্ক যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। এটি জানাজানি হওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, ‘তুরস্কের হিটকক্স গ্লোবাল ইঞ্জিনিয়ারিং নামে কোম্পানির কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট সংযোজনের কথা রয়েছে। আগেও এই কোম্পানি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৫০টি লিফট সরবরাহ করেছে। তাদের লিফট দেখার জন্য তুরস্কে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো সমুদ্রপথে আনার জন্য জাহাজীকরণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই মুহূর্তে সেসব নিয়ে মতামত জানানোরও সুযোগ নেই। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞও নন।’
এ সফরকে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয় প্রমোদ ভ্রমণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, নিয়মের মধ্যে থেকেই এ সফরের আয়োজন করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জিএম আজিজুর রহমান বলেন, ‘সফরের জন্য অতিরিক্ত সরকারি অর্থের প্রয়োজন ছিল না। সফরের খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বহন করার কথা ছিল। এখানে কোনো অপচয় ছিল না।’