বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩ ১৯:০৫ পিএম
আপডেট : ০১ জুন ২০২৩ ১৯:২২ পিএম
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত স্কুল ও মাদ্রাসার শিশুদের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পান করানো হয়। প্রবা ফটো
‘পুষ্টি ও জীবিকার উৎস হিসেবে পরিবেশ বান্ধব ডেইরি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত স্কুল ও মাদ্রাসার শিশুদের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ১০টায় দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলানায়তনে এ দিবস উপলক্ষে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, আকিজ ডেইরি লিমিটেডের অপারেশনাল ডাইরেক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. এম এ সামাদ খান এবং বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।
অধ্যাপক এম এ সামাদ বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে যে দুধ মানসিক রোগীর জন্য খুবই উপকারী। পরিবেশ দূষণ কিংবা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব খুবই সামান্য। খাদ্যশস্য উৎপাদনে ৭০ শতাংশ মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়, সেখানে দুধ উৎপাদনে ৩০ শতাংশ মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে গোবর আমাদের কৃষির জন্য খুব জরুরি। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি ও মাটির পানিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জৈব সার ব্যবহারের বিকল্প নেই।
অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দুধ খেলে যেমন মানসিক বিকাশ হয়, তেমনি বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। প্রোটিনের মাত্রা পরিমিত থাকায় প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত। দেখা গেছে, যে জাতি যত বেশি দুধ উৎপাদনে সমৃদ্ধ, সে জাতি ততো বেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।