প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩ ১৫:৪৮ পিএম
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশতম বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে)। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। ১৯৭১ সালে বাঙ্গালী জাতির অবিসংবাদিত এ নেতার নেতৃত্বে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
এর মাত্র দুবছর পর বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করে। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুকে এ পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর নাম প্রস্তাব করেন।
১৯৭৩ সালের ২৩ মে ন্যায্য কারণেই বিশ্ব শান্তি এবং স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদকের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির গ্রীন রোডের ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার (২৩ মে) শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তির উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল বাশার এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর শামীম আরা হাসান, প্রাক্তন ট্রেজারার ও ব্যবসায় প্রশাসনের প্রফেসর মো. আল-আমিন মোল্লা । অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম এ মাবুদ, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান বুলবুল আহমেদ, এমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো: মোস্তফা হোসেন, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কাজী জুলকারনাইন সুলতান আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন রেজিস্ট্রার এস, এম, নূরুল হুদা।
প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন তার বক্তব্যে ছাত্রছাত্রীদের জাতি, দেশ, পৃথিবীর রাজনীতি নিয়ে গবেষনা করতে বলেন। তিনি বলেন, আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা বঙ্গবন্ধুকে ধরে রাখতে পারিনি। বিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যেখানে প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত খুব সামান্য টাকায় পড়াশোনা করা যায়। আমি ধন্যবাদ জানাই বেসরকারি ইউনিভার্সিটি পরিবারকে যারা করোনাকালে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নিয়েছে। আমাদের সম্পদের পরিমান কম, যুদ্ধের কারণে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি হচ্ছে। নিজেরা দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আমরা জাতি হিসেবে মহৎ প্রমাণ করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন যার কারণে অনেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।