সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৮ পিএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৩ ১৭:৩১ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তিসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবার (৩১ মার্চ) বেলা পৌনে ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কের একাংশ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে আরও শিক্ষার্থী এতে যোগ দিয়ে সড়কের অপর অংশও অবরোধ করেন।
এর মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও ছাত্র অধিকার পরিষদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এ সময় সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের নিঃশর্ত মুক্তিসহ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন অবরোধকারীরা। আগামী রবিবার আদালত কার্যদিবসের পর শামসুজ্জামানের মুক্তি না মিললে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাজ হলো যে ঘটনা ঘটে তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তিনি (শামসুজ্জামান) সেই কাজটিই করেছেন। তার নিউজে ছিল মানুষের চাল-ডাল, ভাত-মাংসের স্বাধীনতার কথা। বাংলাদেশের যে শুধু একটি শ্রেণি, শুধু খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষরাই কষ্টে আছে, বিষয়টি তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও কষ্টে আছে।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী প্রাপ্তি দে বলেন, ‘একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের চিত্র একটি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। আর সেই প্রতিবেদনের দায়ে একজন সাংবাদিককে তার বাসা থেকে রাতে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করা হলেও তারা বারবার অস্বীকার করেন। রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ হলে কেন তারা তাকে সঠিক পন্থায় নিয়ে গেল না?’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে (শামসুজ্জামান) আটকের পর সরকার, সিআইডি, পুলিশ সবাই নাটক করেছে। তারা জানে না শামস কোথায় আছেন। অথচ আমরা দেখেছি পরবর্তীতে শামস ভাইকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এই যে পুরো একটি দিন একজন সাংবাদিক নিখোঁজ ছিল, তখন তার জানমালের নিরাপত্তা কে দিয়েছে?’